নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রবল বর্ষনে ভাঙছে গঙ্গার পার, আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটছে বাসিন্দাদের।
কয়েকদিন আগে শ্রীরামপুর কালিবাবুর শ্মশান ঘাটের পিছনের কিছুটা অংশ ধ্বসে নেমে যায় গঙ্গায়। গতকাল শ্রীরামপুর ধোবি ঘাটের পাশের একটি আবাসনের পিছনে সীমানা পাঁচিল ভেঙে পরে। টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আবাসনের পিছন দিক। ওই আবাসনের বাসিন্দা শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গার ধ্বসে চিন্তিত আবাসনের বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসনকে চিঠি লিখে ঘটনার কথা জানায় শ্রীরামপুর পুরসভা।
আজ জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারীকদের নিয়ে পুর প্রশাসকের দল ঘটনাস্থলে যান। সেচ দপ্তরের আধিকারীকরা বাসিন্দাদের জানান আপাতত বালির বস্তা ফেলে ধ্বস আটকাতে হবে। শীত কালে জলস্তর কমলে পার বাঁধানোর কাজ করা যাবে। আবাসনের সম্পাদক হারাধন মিত্র জানান, বেশ কিছুদিন ধরে একটা ফাটল দেখা গিয়েছিল।কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আর গঙ্গার কোটালের জলে মাটি ধুয়ে হঠাৎ ধ্বস নেমে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আবাসন লাগোয়া লন। যেখানে দুর্গা পুজো থেকে আবাসনের সব অনুষ্ঠান হয়। আবাসন তৈরীর ক্ষেত্রে কি করেছে জানি না, তবে লন তৈরীতে যে ভাবে পিলার দিয়ে করা উচিত ছিল তা করা হয়নি। এখন ভেঙে পরার পর বুঝতে পারছি বলেন হারাধন বাবু। ধ্বস নামার পর অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পরেন আবাসিকরা। তিনটি টাওয়ারে ৭৬ টি পরিবার বসবাস করে ওই আবাসনে।
বৈদ্যবাটি পুরসভার ষোলো নম্বর ওয়ার্ডের হাতিশালা ঘাট ও জেলে পারা গঙ্গা ধ্বসের কবলে পরেছে। হাতিশালা ঘাটের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে গঙ্গায় তলিয়ে গেছে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে এলাকার বাসিন্দাদের। বৈদ্যবাটি পুরসভার পুর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুবীর ঘোষ আজ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ওই এলাকায় যান।
তিনি বলেন, গঙ্গা পোর্ট ট্রাস্টের। পার ভাঙলে তা বাঁধাতে অনুমতি নিয়ে হয় তাতে সমস্যা হয়। ফলে ভাঙন হলে কিছু করার থাকে না। তবুও আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করি, পার বাঁধাতে। যেমন কালিবাবুর ঘাটে শালবল্লা পোঁতা হয়েছে।বালির বস্তা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৈদ্যবাটি থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত সব ঘাট গুলো এবং ভাঙন কবলিত এলাকা গুলোকে বাঁধানোর জন্য সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে বলা হয়েছে। দ্রুত এই কাজ করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেপি যুব সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, গঙ্গার জলে চলে যাচ্ছে এখন দেখা যাচ্ছে শ্রীরামপুর সাংসদ যে আবাসনে থাকেন সেই আবাসনের পাঁচিল জলের তলায় চলে গেছে।এমনি গঙ্গা প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার অনেক টাকা দিয়েছে গঙ্গার পার বাঁধানোয় সেখানে তৃনমূলের লোক কাটমানি খেয়েছে।আর নিয়ম না মেনে গঙ্গার পারে আবাসন তৈরী করায় এমন বিপত্তি হচ্ছে।