নিজস্ব সংবাদদাতা: পোর্টেবেল জ্যামার নিয়ে ডাকাতি করতে এসেছিল বিহারের দুষ্কৃতি দল,তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
![]() |
ধৃতদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন পুলিশের |
মঙ্গলবার চন্দননগর লক্ষীগঞ্জ বাজারে স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। দুটি পোর্টেবেল জ্যামার দুটি বাইক, তিনটে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৬২ রাউন্ড গুলি, কাটিং ও লক ব্রেকিং ইন্সট্রুমেন্ট এবং ডাকাতদের ফেলে যাওয়া দুটি বাইক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
![]() |
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার |
বুধবার বিকালে চন্দননগর থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। আজ ধৃতদের চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সিপি চন্দননগর বলেন, বিহারের পেশাদার গ্যাং এরা। স্বর্ণঋণ দানকারী সংস্থায় ডাকাতি করায় সিদ্ধহস্ত। এখনো পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে চারজন দুষ্কৃতি দুটি বাইক নিয়ে এসেছিল। প্রত্যেকেই সশস্ত্র ছিল। খুব দ্রুত খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় ডাকাতি করে পালাতে পারেনি দুষ্কৃতিরা। পোর্টেবেল জ্যামার ব্যবহার করে দুষ্কৃতিরা যাতে মোবাইলে পুলিশ যোগাযোগ করতে না পারে। দুষ্কৃতিরা ঘেরাও হয়ে গেলে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় তারা তবে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়নি বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
জানা গেছে দুষ্কৃতিরা কয়েকদিন আগে সিঙ্গুরে ঘর ভারা নিয়ে ছিল। ডাকাতি করার জায়গা রেইকি করে তারা। মঙ্গলবার চন্দনননগরের মার্কেট বন্ধের দিন। দোকান পাট বন্ধ তার উপর দুপুর বেলা সেই ফাঁকা সময়কে বেছে নেয় ডাকাতি করার জন্য। কিন্তু পুলিশি সক্রিয়তায় তারা ব্যার্থ হয়।একজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। একজন দুষ্কৃতিকে গঞ্জের বাজারে এক বাইক আরোহিকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার বাইক কেরে নেয়। পালানোর সময় চুঁচুড়া থানার পুলিশ তুলোপট্টি ঘাটের কাছে তাকে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকেও কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।
ডাকাতির ঘটনা বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ ঘটে। তার পরেই চন্দননগর পুলিশ ৩৯ টি পয়েন্টে নাকা তল্লাসী শুরু করে। রাস্তা রেল জলপথ সব জায়গায় ভোর ছটা পর্যন্ত চলে নাকা।রাতে চন্দননগর থেকে আরো একজনকে গ্রেফতার করে। ধৃত তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের জেরা করে পলাতকের খোঁজ চালাবে। যে বাইক আটক হয়েছে তার সূত্র ধরে মালিকের খোঁজ চালানো হবে।