বিধানসভায় বুধবার শোরগোল ফেলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি (BJP) সাংসদ ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বিধানসভায় গিয়ে প্রথমে বিরোধী দলনেতার ঘরে যান। আর সেখানেই তাঁকে সম্মান জানাতে নিজের চেয়ারের তোয়ালে দিলীপকে দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। যদিও দিলীপ তা ফিরিয়ে দেন।

মজা করে বলেন ওটাই তো বিরোধী নেতা, ওঠা সরিয়ে দিলে চেয়ারের আর কী থাকল? এই নিয়ে সবাই হেসে ওঠেন। তারপর কিছুক্ষণ গল্পগুজব চলে।সামান্থার এক নাচে দেড় কোটি! আল্লু অর্জুনের ছবিতে আগুন ঢালবেন আক্কিনেনিকিন্তু এরপরই শুরু হয় শোরগোল। একসময় খড়গপুর সদরের বিধায়ক ছিলেন দিলীপ। তখন বিধানসভায় আসতেন। এদিন শুভেন্দুর ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘরে। সাংবাদিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বিধানসভায়। সেখানেও কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি। ফিরহাদের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজ্যের পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ঘরে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে গল্পের সঙ্গে কাজের কথাও বলেন। এদিন বিধানসভায় পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর দাবি, মদের দাম কমানোর প্রতিবাদ ও বেকারত্ব নিয়ে তিনটি মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। বাইরে এসে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেখায়। আর সেদিনই বিধানসভায় দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি ও মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাত্ নিয়ে কৌতূহল শুরু হয়। যদিও সব জল্পনা উড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি জানিয়ে দেন, সবটাই সৌজন্য সাক্ষাত্। অধিবেশন চলাকালীন সংসদে গিয়ে অন্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই বিধানসভায় এসে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করার মধ্যেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাই জানালেন দলের ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা ছিল নিছকই সৌজন্যের। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'