নদিয়ার হাঁসখালিতে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবার পরিজনজের। নিহতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গভীর রাতে দুর্ঘটনা ঘটলেও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত দেখা মলেনি কোনও চিকিত্সকের। যার জেরে হাসপাতালেই বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন একের পর এক আহত।
রবিবার দুপুরে মৃত ও আহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। মন্ত্রীকে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের আত্মীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিহার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটে দুর্ঘটনাটি। অত রাতে প্রথমে বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পৌঁছয় পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান। অভিযোগ হতাহতদের উদ্ধার করার বদলে কিছু দূরে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। ফলে উদ্ধারকাজ শুরুতে দেরি হয়।
মৃতদের পরিজনদের অভিযোগ, রাত ২টো নাগাদ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। অভিযোগ, সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে কোনও চিকিত্সকের দেখা মেলেনি। ফলে দিনের আলো ফুটতে ফুটতেই হাসপাতালে ছটফট করে মৃত্যু হয় আরও ৭ জনের। বেলা বাড়লে শুরু হয় প্রশাসনিক তত্পরতা। দেহ দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে ডেকে আনা হয় চিকিত্সকদের। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আহতদের কতটা চিকিত্সা হবে তা নিয়েও সন্দিহান পরিজনরা।
মৃতের পরিবারের এক সদস্যের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজ্যের সব হাসপাতালই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। তাহলে কেন সারা রাত চিকিত্সা পেলেন না আহতরা? কেন চিকিত্সকের দেখা পাওয়া গেল না? কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও মরতে হল ৭ জনকে?
দুপুরে হাসপাতালে মৃতের পরিজনদের সমবেদনা জানাতে যান মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। সঙ্গে ময়নাতদন্তের তদারকি করেন তিনি। রোগীর পরিহবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই বলে দাবি করে ঘটনার জন্য অদৃষ্টকে দায়ী করেন তিনি। বলেন, অত রাতে এর থেকে বেশি আর কী চিকিত্সা ব্যবস্থা থাকবে?