'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রেশন দোকানে ৪২ হাজার কর্মী নিয়োগের কথা বলেছেন। যাকে বড় ঘোষণা হিসেবেই দেখছেন অনেকে। যাঁদের বেতন হবে মাসে ১০ হাজার টাকা। অর্ধেক দেবেন ডিলার, অর্ধেকটা রাজ্য সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় অনেকে ডিলার আশঙ্কা করছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা নিজেদের লোক ঢুকিয়ে দিতে চাইবেন।

তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যে ২১ হাজার রেশন দোকান রয়েছে। সেগুলিতে দু'জন করে লোক নিলে ৪২ হাজার ছেলে-মেয়ের কাজ হবে। তাঁদের বেতনের অর্ধেক টাকা ডিলাররা দেবেন, অর্ধেক টাকা দেবে সরকার!'মমতার 'দুয়ারে রেশন', পয়লা দিনই হোঁচট খেল, মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই দফায় দফায় বিক্ষোভমুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থলে সে কথা ঘোষণা করার পরক্ষণেই রেশন ডিলারদের একাংশ বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, এমনিতেই বহু দোকানে কর্মী রয়েছে। তাদের আবার নতুন করে কর্মী নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যে সব রেশন দোকানে লোক নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে আবার যেন পার্টির ছেলেপুলে ঢুকিয়ে না দেয়। এক রেশন ডিলারের কথায়, 'নেতারা নিজেদের লোককে ঢুকিয়ে দিলে হবে না। আমাদের ঘরেও ছেলেপুলে আছে। আমরা তাদেরই নেব।' মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রেশন দোকানে কাজের জন্য যাঁদের নেওয়া হবে তাঁদের মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা দেবেন ডিলাররা আর পাঁচ হাজার টাকা দেবে সরকার। অর্থাত্ দোকান পিছু দু'জন লোকের জন্য ডিলারের খরচ হবে ১০ হাজার টাকা এবং সরকারের খরচ হবে ১০ হাজার টাকা। এরই প্রতিক্রিয়ায় রেশন মালিক সংগঠনের এক সদস্য এদিন বলেন, এই ঘোষণা সমস্যা হতে পারে। দেখা যাবে কোনও দোকানে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী রয়েছে। কিন্তু তার পরেও চাপ আসবে আরও দুজনকে নেওয়ার। সে জন্য সরকার মাসে ১০ হাজার টাকা দেবে ঠিকই। কিন্তু আরও ১০ হাজার টাকা তো রেশন দোকানের মালিককেও দিতে হবে। সুতরাং এই ঘোষণা ভাল। কিন্তু তা জোর করে চাপানো হলে রেশন মালিকদের অনেকেই চাপে পড়তে পারেন। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'