ক্লাসরুমে উদ্দাম নাচ ছাত্রীদের, ভিডিও ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপ স্কুল কর্তৃপক্ষের

দেবব্রত দাস, খাতড়া: ফের ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের নাচের ভিডিও ভাইরাল। এবার ঘটনাস্থল বাঁকুড়া। দীর্ঘদিন পরে স্কুল খোলার আনন্দে ক্লাসরুমের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রী নাচছে। স্কুলের ক্লাসরুমে ছাত্রীদের সেই নাচের ভিডিও মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর তারপরই সেই ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুর এলাকায়। ছাত্রীদের কীর্তির ভিডিও দেখেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের ডেকে পাঠানোর পাশাপাশি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাইপুর ব্লকের একটি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ৪-৫ জন ছাত্রী স্কুল ইউনিফর্ম পরেই ক্লাসরুমের মধ্যে বাংলা ও হিন্দি গানের তালে তালে নাচছে। ছাত্রীদের নাচের ভিডিও শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই নাচ ঘিরে নানা মন্তব্য ধেয়ে আসতে শুরু করে। ছাত্রীদের এমন ভিডিও ভাইরাল হতেই নজর পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়।

[আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের স্কুলশিক্ষকের চাকরি বাতিল করল SSC]

বৈঠকে ওই ছাত্রীদের এমন ভিডিও তোলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওয় নৃত্যরত ছাত্রীদের অভিভাবকদের সোমবার স্কুলে ডাকা হয়েছে। রাইপুরের ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মধুসূদন মণ্ডল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বাদশ শ্রেণির ৪-৫ জন ছাত্রীর নাচের একটি ভিডিও পোস্ট হয়েছে। ওই ভিডিওয় স্কুলের ছাত্রীরাই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের মধ্যে এধরনের ভিডিও তৈরি করা একেবারেই অনুচিত। বিষয়টি জানার পরই দ্রুত পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে আজ ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের ডাকা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীরা শুক্রবার ক্লাসের মধ্যে ওই ভিডিওটি তুলেছিল। পরে কোনওভাবে তা কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো প্ল্যাটফর্মে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও দেখেই রাইপুর-সহ জঙ্গলমহল এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ওই স্কুলের এক শিক্ষক দাবি করেছেন, ভিডিওয় স্কুলের কয়েকজন ছাত্রী নাচছে ঠিকই, তবে ওই নাচের সঙ্গে রিমিক্স করে নানা ধরনের গান জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটা পুরোটাই এডিট করা। ছাত্রীরা খোলা মনে আনন্দে ভিডিও তুলেছে। কিন্তু যারা তাদের এই নাচকে এডিট করে নানারকম গান জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে, তারা মোটেও ভাল কাজ করেনি। স্কুলের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এক অভিভাবক বলেন, ক্লাসরুমের মধ্যে ভিডিও করা ঠিক হয়নি। তবে ছাত্রীদের ওই ভিডিও এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটা অত্যন্ত কুরুচিকর।

[আরও পড়ুন: IPL 2022: আইপিএলের নতুন মরশুমে দুই মুম্বইকরকে টার্গেট করতে পারে কেকেআর]



from রাজ্য​ – Sangbad Pratidin https://ift.tt/31s21i8

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন