কোভিড পজিটিভ ব্যক্তি ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত হলে চিকিৎসা হবে বেলেঘাটা আইডি ও এমআর বাঙুর হাসপাতালে। তবে এদিন পর্যন্ত রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের কোনও হদিশ মেলেনি।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রন করতে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ-সহ পরিবহণ, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের নির্দেশ বিদেশ থেকে যাঁরাই বিমানবন্দরে আসবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম মেনে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্টে যদি কোভিড পজিটিভ হয় তবে সেই ব্যক্তিকে দ্রুত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হবে। সেখানে ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কল্যাণীর জিনোম সিকুয়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। জিনোম পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেলে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID) বা এম আর বাঙুর হাসপাতালের (MR Bangur Hospital) পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা করা হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকের পর জানান, “বিদেশ থেকে রাজ্যে যাঁরা এসেছেন তাঁদের লালারস পরীক্ষা করে কোভিড (Covid-19) পজিটিভ কোনও যাত্রী পাওয়া যায়নি। তবে আগামী দিনের কথা ভেবে বেলেঘাটা আইডি এবং এমআর বাঙুর হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, দু’টি হাসপাতালে ৫০ করে মোট ১০০টি শয্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। ডেল্ডা বা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিতদের ওয়ার্ডেই তাঁদের চিকিৎসা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।
তবে সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রাজ্যের চার কোভিড পজিটিভ রোগীর লালারস জিনোম সিকুয়েন্স পরীক্ষার জন্য কল্যাণীর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। একইরকমভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, দিল্লির নির্দেশ মেনে বিদেশ থাকা আসা সব যাত্রীকেই আরটি পিসিআর পরীক্ষার পর বাড়িতে অন্তত ১৪দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। মাঝে ফের তাঁদের আরিটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। যদি কোভিড পজিটিভ হয় তবে দু’টি হাসপাতালে ভরতি করা হবে। এই সময়ে স্বাস্থ্যভবন থেকে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগযোগ রাখা হবে।