ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় কি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) হবে? ফের একবার ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘জাওয়াদ’ সংক্রান্ত সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকার্তা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। কী জানালেন তিনি?
ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। ফলে বাংলায় আছড়ে পড়বে না ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ (Cyclone Jawad)। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও ঝড়ের তাণ্ডবের আশঙ্কা নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। সঙ্গী হবে ঝোড়ো হাওয়া। তবে এই হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। হাওয়া অফিসের এই আশ্বাসবানীতে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল বঙ্গবাসীর।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার অর্থাৎ ৪ তারিখ রাত থেকে ৬ তারিখ সকাল অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার ভোর ৪টে থেকে উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। উপকূলের জেলাতে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া। সোমবার বেলা থেকে ঝড়, বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে।
এদিন সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, “কাল অর্থাৎ রবিবার দুপুরে পুরীর কাছে অবস্থান করবে ‘জাওয়াদ’। এর পর থেকেই ক্রমশ শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়টি। রাজ্যে ঢোকার আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘জাওয়াদ’।” সবমিলিয়ে হাওয়া অফিসের নয়া বার্তায় স্বস্তিতে বাংলার মানুষ।
ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের আকাশ মেঘলা। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে। এছাড়াও কলকাতায় চলবে বৃষ্টি।