নিজস্ব সংবাদাতা : হুগলী জেলার চন্ডীতলা ব্লক ২ মতুয়া মহাসঙ্গের পরিচালনায় চিকরন্ড জলাপাড়ায় ৪ দিন ব্যাপি মতুয়াধর্ম মহাসম্মেলন চলছে।
চিকরন্ড জলাপাড়া পূর্বমধ্যপাড়ায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসম্মেলন হুগলী জেলার চন্ডীতলা শাখার প্রথম সম্মেলনে। ৫- ৮ মার্চ চলা এই ধর্ম সম্মেলন উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মতুয়া ধর্মালম্বী মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছেন হুগলী-র চিকরন্ড-তে।
সারা বিশ্বজুড়ে যে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে শান্তিপ্রিয় মানুষ আজ শান্তির খোঁজ করছেন। এই মহা সম্মেলনে থেকে পূর্ণব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের শান্তির বাণী প্রচার করা হচ্ছে।সম্মেলন মঞ্চে প্রতিদিন চলছে নাম সংকীর্তন ভক্তিমূলক সংগীতের অনুষ্ঠান যাত্রাপালা। তার সঙ্গে বস্ত্র বিতরণ এবং প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে এখানে আহত সমস্ত ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে।
এই মহাসম্মেলন থেকে বেশ কিছু দাবি পত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ২০০৩ সালে যে কালা নাগরিকত্ব আইন আনা হয়েছে সেটাকে সংশোধন করতে হবে, পূর্ববঙ্গ থেকে আগত সমস্ত কে উদ্বাস্তু কে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করতে, হবে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য সরকারের ন্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ছুটি ঘোষণা করতে হবে, পাঠ্যপুস্তকে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলনকে যুক্ত করতে হবে,স্থানীয় এলাকায় শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে, এ ছাড়াও স্থানীয় এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার আরও উন্নত করতে হবে। এই সমস্ত দাবিপত্র এই মহাসম্মেলন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
চার দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঘাতি পতি প্রাক্তন সংসদ মমতা বালা ঠাকুর, সুবীর মুখার্জি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ত কার্য্য পরিবহণ স্থায়ী সমিতি, হুগলি জেলা পরিষদ। আরামবাগ এর সংসদ তথা MP মাননীয়া অপরূপা পোদ্দার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক স্বাতী খন্দকার ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী ডাক্তার রত্না দে নাগ, সহ বহু বিশিষ্ট মানুষজন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শ্রীশ্রী ঠাকুর পূর্ণব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১০ তম আবির্ভাব উপলক্ষ্যে এই মহাসম্মেলন থেকে মানুষের মধ্যে শান্তির বাণী, ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়েছে... পাশাপাশি উক্ত সম্মেলনে এলাকার মতুয়াদের 8 দফা দাবি তুলে ধরা হয় এর মধ্যে জল নিকাশি কলকারখানা কর্তৃক পরিবেশ দূষণ রোধ হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে একটি উচ্ছ বিদ্যালয় স্থাপন করা ও হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথীতে রাজ্যের ন্যায় কেন্দ্রকেও সরকারি ছুটি ঘোষনা করতে হবে।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরামবাগ কেন্দ্রের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার জোর দিয়ে বলেন আগামী অধিবেশনে ছুটির বিষয়টি তুলে ধরব এবং হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করব। ও মা মমতা ঠাকুর উন্নয়ন দি ওয়েস্ট বেঙ্গল মতুয়া ওয়েলফেয়ার বোর্ড-এর ফান্ড থেকে পাচ লক্ষ টাকা অনুদান দেবেন।