পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট সারিফ। অভাবের সংসারে বাবার আয়ের ওপরই মূলত নির্ভরশালী গোটা পরিবার। নুন আনতে পান্তা ফুরনো পরিস্থিতি। কিন্তু এই অবস্থাতেও মনের জেদ ছিল অদম্য। আর সেই জেদের সঙ্গে ছিল কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা। সাফল্য যে আসবেই, তা জানত সারিফা। কিন্তু প্রথম স্থান সে অধিকার করবে, এতটা হয়ত ভাবেনি।
অভাবের সংসারে অর্থের অভাব। তাই জীবনের এত বড় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সারিফা কোনও টিউশন নেয়নি। করোনার ফলে স্কুলও বন্ধ ছিল। ফলে বাড়িতেই পঠন পাঠন করেছিল। দিনে ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করত সারিফা। হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। তবে এখানেই থেমে থাকতে চায় না সে। সারিফা স্বপ্ন দেখছে চিকিৎসক হওয়ার। একদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবে, এই আশায় পরিবারের লোকেরা।
প্রায় ৪০ দিন পর প্রকাশিত হল মাদ্রাসা এডুকেশনের ফল। গত ৭ই মার্চ হাই মাদ্রাসা (Madrasa), আলিম এবং ফাজিল শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়। ২১ মার্চ পর্যন্ত চলে এই পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে ৪০ দিনের মাথায় ৩০ এপ্রিল ফল প্রকাশ হল এই পরীক্ষাগুলির (Exam)। ২০২১ সালে প্রতিটি পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশের হার থাকলেও ২০২২ সালে বদলে গেল সেই ফলাফলে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তরফ থেকে ফল প্রকাশ করেন মাদ্রাসা এডুকেশনের সভাপতি আবু তাহের কামরউদ্দিন। এছাড়াও এই ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি মান্নাফ আলী, ডেপুটি সেক্রেটারি সাবানা শামীম।