Birbhum: ‘তারিখ পে তারিখ’, প্রাথমিক শিক্ষক হওয়া হয়নি, টাকা ফেরত চেয়ে নেতার পা ধরলেন যুবক

 যুবকের অভিযোগ, ২০১২ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকার পুরোটা ফেরত পাননি। বাবার চিকিৎসার জন্য টাকাটা দরকার। 

২০১২ সাল। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক করে দেবেন, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে ন’লাখ টাকা নিয়েছিলেন রতন মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, নিজেকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলে দাবি করেছিলেন রতন। তার পর ১০ বছরেরও বেশি কেটে গিয়েছে। চাকরি হয়নি। পুরো টাকা ফেরতও পাননি। অন্য দিকে, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। চলছে একাধিক মামলা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতার পা ধরে টাকা ফেরত চাইলেন যুবক। জানালেন, ওই টাকায় বাবার চিকিৎসা করাবেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতন। ঘটনাটি বীরভূমের ইলামবাজারের।

অভিযোগকারী অসীম সিংহের বাড়ি জয়দেবে। তাঁর দাবি, ইলামবাজারের ইসলামপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বলে দাবি করা রতন প্রাথমিক স্কুলে চাকরির দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ন’লাখ টাকা নেন। জমিজমা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়েছিলেন অসীম। কিন্তু এত বছরেও চাকরি হয়নি। নিজের পুরো টাকাও ফেরত পাননি। এখনও এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাবেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা চাইতে গেলে বার বার তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে। শুক্রবার শেষমেশ নেতার পা ধরে টাকা চান তিনি। অসীমের কথায়, ‘‘টাকা চাইতে গেলে বার বার দেব দেব বলছে (রতন)। কিন্তু দিচ্ছে আর না! হাতে-পায়ে পড়ে নিজের টাকা চাইলাম। ওই টাকা দিলে বাবার চিকিৎসা করতে পারি।’’

যদিও অভিযুক্ত রতন জানান, তিনি চাকরির দেওয়ার নামে কোনও টাকা নেননি। ব্যবসা করার জন্য ধার নিয়েছিলেন। মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়ে দিয়েছি। বাকি টাকা ফেরতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে ওরা আমায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন