Sovan-Bhaishakhi: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর বৈঠকের পর দিনই ডিগবাজি খেলেন কুণাল। কটূ কথা ছেড়ে মধুমাখা কথায় ভরিয়ে দিলেন ২জনকে।
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার বেশ কয়েক মাস পর গেরুয়াশিবিরের হয়ে দক্ষিণ কলকাতায় মিছিলে নামেন শোভন ও বৈশাখী। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে জানুয়ারি মাসে গোলপার্ক থেকে সেমিলপুর পর্যন্ত মিছিলে ছিলেন শোভন-বৈশাখী। মিছিল পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠক থেকে সে দিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন শোভন। তার পর শোভন-বৈশাখীর উদ্দেশে তৃণমূলের তরফে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। সে দিন কুণাল বলেছিলেন, ‘‘শোভন হচ্ছেন বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি।’’ এককালের শিশুখাদ্যের প্যাকেটে থাকা নাদুসনদুস শিশুর ছবির সঙ্গে তুলনা করেই শোভনকে কুণাল কটাক্ষ করেছিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সে দিন বৈশাখীকে ‘ফুলটুসি’ বলেছিলেন তিনি। তবে শুধু কুণালই নন পদ্মশিবির থেকেও ধেয়ে এসেছিল কটাক্ষ। শোভন-বৈশাখীর বিজেপি-তে যোগদানের পর দিলীপ ঘোষ তাঁদেরকে ‘ডাল-ভাত’ বলেছিলেন।
এই কথার দেড় বছরের মাথায় উল্টো সুর শোনা গেল কুণালের গলায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, “আমার সঙ্গে শোভন এবং বৈশাখীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ ছিল না। একুশে ওরা আমাদের দলকে আক্রমণ করেছিলেন। জবাব দিতে আমিও রাজনৈতিক আক্রমণ করেছিলাম। এখন দল যদি তাঁদের গ্রহণ করে তাহলে আমার কী বলবার আছে।” এর পরই উঠেছিল বৈশাখীকে ফুলটুসি বলার প্রসঙ্গ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “বৈশাখী ভাল দেখতে। ভাল সাজে। কথা বলেও ভাল। আমি দেখি। আমার দেখতে ভালো লাগে।”
কুণালের এই ভোলবদলের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। তিক্ততা সরিয়ে খোদ তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন শোভন ও বৈশাখী। তাই পুরনো তিক্ততা ভুলে এক সঙ্গে পথচলার বার্তা দিলেন কুণালও।