গত মাসের ১২ তারিখে শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরের দাস পাড়ায় খুন হন বৃদ্ধ গৌতম দাস।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সম্পত্তির লোভে ভাই উজ্জ্বল দাস ও ভগ্নিপতি বিজয় মন্ডল সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুন করিয়েছে। সেই ঘটনায় সুপারি কিলার এলাকারই দুষ্কৃতি কৃষ্ণ সরকার সহ তিনজন গ্রেপ্তার হয় গত ১৩ মে। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১৬ মে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় কৃষ্ণ। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। পরদিন ভোরে বৈদ্যবাটি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড ঘোষালপাড়া থেকে আকাশ দে নামে এক বছর ষোলোর কিশোরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কৃষ্ণ। নাতির অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে আকাশের দাদু। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে অভিযুক্ত কৃষ্ণকে। ঠিক এক মাস পরে কৃষ্ণের সন্ধান পায় পুলিশ। গত পরশু তার বাড়িতে ফোন করে কৃষ্ণ। সেই সূত্র ধরে পুলিশ খোঁজ শুরু করে। সূত্র মারফত জানতে পারে নদীয়ার ধানতলা থানা এলাকায় কৃষ্ণ কে দেখা গেছে।গতকাল বিকালে শ্রীরামপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সমীর কর্মকারের নেতৃত্বে একটি দল রওনা দেয় ধানতলা। রাত একটা নাগাদ নারায়ণ পাড়া গ্রামে একটি বাড়ি থেকে কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় অপহৃত কিশোর। বাংলাদেশ বর্ডারের খুব কাছে নারায়ণ পাড়াগ্রাম। পুলিশের অনুমান বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কৃষ্ণর। গত পনেরো দিন ধরে সে আকাশ কে নিয়ে ধানতলাতেই ছিল। আজ ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। খুনের মামলা ছাড়াও পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো এবং অপহরনের মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে এক কিশোরকে কিডন্যাপ করে বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে গা ঢাকা দিয়েছিল খুনের মামলায় অভিযুক্ত কৃষ্ণ সরকার। বাংলাদেশ পালানোর আগেই শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করল! উদ্ধার হলো অপহৃত কিশোর।