Padma Setu : এল ঐতিহাসিক মুহূর্ত ! পদ্মা সেতু এতটাই কাছে আনছে কলকাতা-ঢাকাকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  আরও কাছাকাছি ঢাকা ও কলকাতা। শনিবার ‘পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ’-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ প্রশাসনের দাবি, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর এটাই দেশের সব থেকে বড় ঘটনা।

পদ্মা সেতু খুলে গেলে, কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে দেড়শো কিলোমিটার। এখন এপার বাংলার রাজধানী থেকে ওপার বাংলায় পৌঁছতে ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় ট্রেনে। সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। শনিবার থেকে ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই পা পড়বে পদ্মাপারে। সময় লাগবে ৬ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা।

খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা

বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ ওঠায় বিলম্বিত হয় কাজ। আর্থিক সাহায্যের কথা থাকলেও প্রকল্পের রূপায়ণ থেকে হাত গুটিয়ে নেয় বিশ্বব্যাঙ্ক। ২০১৩ সালে দেশের টাকাতেই ব্রিজটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে শুরু হয় সেতুর মূল অংশের কাজ। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা। 

 ‘আমার টাকায় আমার সেতু, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু’

ঢাকার রাস্তা ঢাকা পড়েছে ‘আমার টাকায় আমার সেতু, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু’ - স্লোগান লেখা পোস্টার-ফেস্টুন-ব্যানারে। ৪২টি পিলারের ওপর থাকা ব্রিজটি সাড়ে ১০ কিলোমিটার লম্বা। দৈর্ঘের হিসেবে পদ্মা ব্রিজের স্থান বিশ্বে ১২২। পিলারগুলি আছে জলের নীচে ১২৮মিটার গভীর পর্যন্ত। পৃথিবীর আর কোনও দেশে কোনও সেতুর পিলার এত গভীরে নেই।

দোতলা সেতু

এটি আসলে দোতলা সেতু। একতলায় নদীর কাছাকাছি সিঙ্গল লাইনে চলবে ট্রেন। তার ওপরে চার লেনের চওড়া রাস্তায় চলবে সব রকম গাড়ি। নিবার সকাল ১০টায় খুলে যাবে সেতু। বাংলাদেশের আশা, সেই সঙ্গে খুলে যাবে বাণিজ্যের নতুন পথ। 



সড়কপথে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় পৌঁছনোর দূরত্ব কমাবে পদ্মা সেতু। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ প্রশাসনের দাবি, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর এটাই দেশের সব থেকে বড় ঘটনা। খরস্রোতা পদ্মার ওপর সেতুর উদ্বোধন ঘিরে তৈরি হয়েছে আবেগ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে বহু মানুষ সেখানে ভিড় করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন