Hooghly Crime News|| অন্ধকার হলেই ছোটে মদের ফোয়ারা! চরমে ওঠে অসামাজিকতা! হুগলির স্কুলে এ কী কাণ্ড!

 

রাতের অন্ধকারে স্কুল পরিণত হয়েছে দুষ্কৃতীদের আখড়ায়। চলে মদের ফোয়ারা ফুর্তি আমোদ ও অশ্লীলতা। পরের দিন সকালে স্কুলে এসে সেই মদের বোতল পরিষ্কার করতে হয় শিক্ষকদেরই। হুগলির পান্ডুয়ার আত্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোজকারের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। স্থায়ী সমাধানের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বারস্থ হন প্রশাসন ও পুলিশের কাছে।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই দশা প্রভাব ফেলেছে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও। স্কুলে রয়েছেন মোট ৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১০৫ জন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি দফতরে স্কুলের পাঁচিল-সহ বিভিন্ন ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। অভিভাবক জানান, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এখানে এসে মদ্যপান করে, নোংরা কাজ চলে এই স্কুলে। তার মধ্যে তার জন্যই ভোগান্তিতে পড়তে হয় সকলকেই। স্কুলের দীর্ঘদিনের দাবি, স্কুল চত্বরকে পাঁচিল দিয়ে গিরে ফেলার কিন্তু সেটা এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। তার ফলেই দুষ্কৃতীদের আখড়ার পরিণত হয়েছে এই স্কুলটি। এমনকি বিভিন্ন সময় স্কুলে চুরিরও ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে পাণ্ডুয়া প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক না হলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দী জানান, এই ধরনের ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। সেই মতন তিনি পান্ডুয়া থানায় জানিয়েছিলেন। পুলিশি টহলদারিতে কিছুদিনের জন্য শুধু বন্ধ হলেও আবারও শুরু হয়েছে দুষ্কর্ম। আর এ জন্য প্রয়োজন বাউন্ডারি ওয়ালের। আর যত শীঘ্র সম্ভব তার ব্যবস্থা হবে প্রশাসনের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর স্কুলের পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে এসেছে তারা। সন্ধ্যার পরে এলাকায় পুলিশ টহলদাড়ি থাকবে। কে বা কারা সন্ধ্যার পর ওই অঞ্চলে প্রবেশ করছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে খোঁজ নিতে শুরু করেছে পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, স্কুলটির পাঁচিল ও আলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। স্কুলের বিষয় নিয়ে কথা বলতে গ্রামবাসীদের সাথেও কথা বলা হবে। কীভাবে স্কুল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে, তা নিয়ে তৎপর-প্রশাসন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন