নিজস্ব সংবাদাতা: ডানকুনি স্টেশনের পাশেই রয়েছে প্রাচীন বাজার। এই বাজারের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ভোর থেকেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় সেখানে। সবজি বাজার ও মাছের বাজার দুই রয়েছে।
ভোর থেকে একেবারে সন্ধে পর্যন্ত গমগম করে এলাকা। যদিও এই বাজার আর বেশিদিন থাকবে না। ৬২ বছর বয়সী ওই বাজারও যেন বয়সের ভারে ধুঁকতে শুরু করে দিয়েছে। সৌজন্যে রেলের নোটিশ। একাধিকবার বাজার সেখান থেকে তুলে দেওয়ার জন্য রেলের তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই বাজারের মেয়াদ নাকি আর মাত্র দেড় মাস। তারপরই সেখান থেকে আর ব্যবসায়ীদের হাঁক শুনতে পাওয়া যাবে না। এদিকে পুজোর সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৯৬০ সালে দুই একজন ব্যবসায়ী মিলে এই বাজার তৈরি করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে ৪২ জন দোকানদার উপলব্ধি করেছিলেন রেলের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে না। তাই একটি সংগঠনের প্রয়োজন। এরপরে তাঁরা সংগঠন তৈরি করেন তার নাম দেন ডানকুনি বাজার সমিতি। ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আন্দোলন চলেছে। মাঝে মধ্যে রেলের তরফে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়। তার কিছু দিন পর অবশ্য সেই সমস্যা আবার থিতু হয়ে যায়। যদিও এবার আর তা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানিয়েছেন, যে আর মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া সেই বাজার।
ছোট বড় মিলিয়ে এখন প্রায় ৬০০ জন ব্যবসাদার রয়েছে ডানকুনি বাজারে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ এই বাজারে আসেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। ফলে একদিকে বাজার উঠে যাওয়ার ফলে যেমন সমস্যায় পড়বেন ব্যবসায়ীরা, তেমনই সমস্যায় পড়তে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। কারণ যাতায়াতের পথে অনেকেই সেখান থেকে বাজার করে নিয়ে যাম। এদিকে বাজার সেখান থেকে উঠে গেলে তা আর সম্ভব হবে না।
পুজোর আগে বাজার ভেঙে দেওয়ার কথা জানতে পেরে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। কারণ তাঁদের রুটি রোজগারেও টান পড়বে। এত বড় বাজার ডানকুনি ছাড়া আর অন্যত্র নেই। বাজার টিকিয়ে রাখার জন্য ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আন্দোলন চলেছে। জনসাধারণকে নিয়ে গণ কনভেনশন থেকে শুরু করে মিটিং, মিছিল করা হয়েছে। কিন্তু, লাভ তেমন কিছুই হয়নি।
ডানকুনি পুরসভার চেয়ারম্যান হাসিনা সাবনাম বলেন, "পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে আমরা চিঠি করেছি। সামনেই পুজো রয়েছে, ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন ব্যবসাদার রয়েছেন। প্রায় ২ লাখর মানুষ প্রতিদিন এই বাজার থেকেই বাজার করেন। আমরা তাঁদের জন্য একটা পুনর্বাসন চাই। আমরা মিটিং মিছিল আন্দোলন করেছি।"
Tags:
Dankuni