নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের মাঝেই ভয় ধরাচ্ছে অজানা জ্বর! ডানকুনিতে অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক নার্সিং স্টাফের।মৃতের নাম বিম মিত্র(২৩)। ডানকুনি পুরসভা 16নং ওয়ার্ডের রায়পাড়ার বাসিন্দা ওই নার্স শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বুধবার তার মৃত্যু হয়।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া জানান,অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে নার্সের। জ্বর ছিল তার। ডেঙ্গু পরীক্ষায় এন এস -১ নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। আরো সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় তার। সিএমওএইচ বলেন, এই সময় ডেঙ্গু বাড়ছে।তাই জ্বর হলেই অনেকে মনে করছে ডেঙ্গু হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এনসেফালাইটিস,চিকুনগুনিয়া,ম্যালেরিয়াও হতে পারে।তাই জ্বর হলে ফেলে রাখা যাবে না। জেলার ১৮ টা ব্লক হাসপাতাল ও ৫ টা বড় হাসপাতালে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে।এখনো পর্যন্ত হুগলি জেলায় ১৬০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।চারশ জন সক্রিয় রোগী হাসপাতালে ভর্তি ২০০ জন বাড়িতেই চিকিৎসা করাচ্ছেন।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান গতকাল শ্রীরামপুর মহকুমা দপ্তরে ডেঙ্গু নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম,জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া,সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।প্রতি সপ্তাহে কেস বাড়ছে।সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিয়ে স্পেশ্যাল ড্রাইভ নেওয়া হবে।যে সব এলকায় অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে,সেই সব জায়গায় দুটি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতার অভিযান করতে হবে।প্রথমত লার্ভা রোখার চেষ্টা করা হবে। পুজোর আগে ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৯শে সেপ্টেম্বর অবধি ও ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পুজোর পর ১১ই অক্টোবর থেকে ১৮ই অক্টোবর অবধি।কোথায় কোথায় দ্রুত ছড়াচ্ছে সেই সব ওয়ার্ড ও গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা গুলো কে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে।পুজোর সময় বহু চায়ের ভাঁড় ও নারকেল খোল পড়ে থাকে,সেই সব পরিষ্কার করলে পুজোর পরে প্রকোপ রোখা যাবে। দ্বিতীয়ত জেলার সমস্ত হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে।আলাদা ভাবে ফিভির ক্লিনিক খোলা হবে।যাতে রোগীদের অপেক্ষা করতে না হয়।
চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল,চন্দননগর,শ্রীরামপুর,আরামবাগ মহকুমা ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ২৪ ঘন্টার ল্যাব খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।যাতে ২৪ঘন্টার মধ্যে টেস্ট ও ৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোন রকম গাফিলতি না হয় তার জন্য সকলের সঙ্গে কোঅরডিনেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বড় হাসপাতালের ডেপুটি লেভেল অফিসারদের,যাতে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা যায়।