নিজস্ব সংবাদদাতা: ডানকুনিতে নিজের জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরতে গিয়ে তৃণমুলের এক কাউন্সিলারের বাধার মুখে পড়েছেন জমির মালিক।
ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মন্মথনগরের রায়পাড়ায়। জমির মালিক মঞ্জুরানি ঘোষাল ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। ডানকুনি পুরসভা জানিয়েছে, জমির মালিককে পাঁচিল দিয়ে জমি ঘেরার বিষয়ে পুরসভা সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এলাকাবাসী ডানকুনি পুরসভা একটি ডেপুটেশন দিয়েছিলেন। স্থানীয় ক্লাবের প্রাক্তন সেক্রেটারি সমর রায়ের দাবি, গত ৬০ বছর ধরে আমরা ওই মাঠে খেলাধুলা করছি। তৎকালীন সময়ে জমির মালিক বলেছিলেন এই জমিতে তোমরা খেলাধুলা করবে, ভবিষ্যতে তোমাদের জমিটা দিয়ে দেব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য উনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে ওনার স্ত্রী খেলার মাঠে পাঁচিল দিতে চাইছেন। আমরা বলেছি ওনার স্বামীর স্মৃতিতে জমিটা দান করুন।
জমির মালিক মঞ্জুরানি বলেন, ‘আমার স্বামী প্রয়াত আইনজীবী মদন মোহন ঘোষাল আমার নামে রায়পাড়ায় জমি কেনেন। ওই জমির পরচা ও পুরসভার করের রসিদ সমস্ত কিছুই আমার নামে। স্বামীর মৃত্যুর পর আমি ওই জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরতে গেলে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় লোকজন নিয়ে কাজে বাধা দেন। আমি পাঁচিল দেওয়ার জন্য বালি পাথর কিনে সেখানেরেখেছিলাম। সেটাও উধাও হয়ে গিয়েছে।' তাঁর কাছে অনৈতিক ভাবে টাকাও দাবি করা হয় বলে অভিযোগ মঞ্জুরানির। স্বামী মারা যাওয়ার পর অর্থকষ্টে পড়েছেন প্রৌঢ়া। তার উপর জমি হাতছাড়া হলে চরম বিপদে পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। ডানকুনি পুরসভা ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে মঞ্জুরানির দাবি, তাঁর জমি যাতে সুরক্ষিত থাকে ও তিনি যাতে ওই জমি ব্যবহার করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করুক প্রশাসন।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওই জমিতে অনেকদিন ধরে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করে। আইনজীবী মদনমোহন ঘোষাল যখন জীবিত থাকার সময় স্থানীয়দের মৌখিক ভাবে জমিটি ছোটদের খেলার জন্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন বলে শুনেছি। সেই কারণেই পাড়া পড়শিরা পাঁচিল তোলার সময় জানতে গিয়েছিলেন। কেউ তাঁকে বাধা দেয়নি বা টাকা চায়নি।"