নিজস্ব সংবাদদাতা: চন্দননগর পুলিশের তদন্তকারী এক অফিসার জানান,ডানকুনি থেকে বিদেশে অনলাইন প্রতারণা চালাত অভিযুক্তরা।ভারতে রাত আর পাশ্চাত্যের দেশগুলো তখন দিন।সেই সময়টাতে কাজ করত তারা।ডানকুনির ভারা নেওয়া গোডাউনে রাত আটটা নাগাদ ঢুকত গাড়ি নিয়ে।ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ করে বেরিয়ে যেত।
কিভাবে কাজ হত? তদন্তকারীরা জানান,ডানকুনি থেকে দিল্লী বিভিন্ন জায়গায় প্রতারকদের এজেন্ট রয়েছে।বিদেশী নাগরিকদের ডলার কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরিয়ে সেখান থেকে প্রতারকদের একাউন্টে সরিয়ে ফেলা হত।এরকম অসংখ্য ব্যাঙ্ক একাউন্টেরও হদিশ মিলেছে।তবে তদন্তকারীরা জানান,কয়েক ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা করেছে এই চক্র।
আমাজনের মত অনলাইন বিপনীর ফেক মেলে লোভনীয় অফার দেওয়া হত।সেই ফাঁদে পা দিয়ে মেলে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলেই তার মোবাইল ব্যাঙ্ক একাউন্ট হ্যাক করে ডলার হাতিয়ে নিত প্রতারকরা।এরজন এনি ডেস্কের মত টিম ভিউয়ার অ্যাপ ব্যাবহার করত।
কিভাবে ধরা পরল?
ডানকুনি থানার আই সি তাপস সিনহা সূত্র মারফত জানতে পারেন চাকুন্দির ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে একটি গোডাউন ভাড়া নিয়েছে কয়েকজন যুবক।তারা দিনে আসে না মূলত রাতে গাড়ি নিয়ে ঢোকে।দিনের আলো ফোটার আগে বেরিয়ে যায়।পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা কম্পিউটার রিপিয়ারিং এর কাজ করে বলে ভাড়া নিয়েছিল।কিন্তু রাতে কেন সেই কাজ সন্দেহ হয় আই সি'র।গোপনে খোঁজ খবর নিতে থাকেন।যুবকদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়।শুক্রবার চাকুন্দির গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ।প্রতারকদের কান্ডকারখানায় হতবাক দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।
অভিযুক্তদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে সাইবার অপরাধের তদন্ত চালাবে পুলিশ।