নিউজ ডেস্ক : ২৩শে জানুয়ারি অর্থাৎ নেতাজি জয়ন্তীতে পদযাত্রায় অংশ নিয়ে, ডোরিনা ক্রসিং থেকে রেড রোডে নেতাজির মূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর রেড রোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে সোজা ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে ৪ অনশনকারীর সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই তিনি বলেন, "সরকারি কর্মীরা সচেতন। সংবেদনশীল। কিন্তু ২০১৬ সালের পর তাঁরা এই সরকারের স্বরূপ বুঝেছেন। বুঝেছেন যে তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কর্মীরা দেখেছেন আবাস যোজনা থেকে শৌচালয়। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে তালা-চাবি ঝুলে গিয়েছে। পিএসসি অফিস কেও বাদ দেওয়া হয়নি। মিড-ডে মিলের টাকায় কম্বল বিতরণ হয়েছে।" তিনি যোগ করেন, "এদের প্রতিবাদে মমতা ব্যানার্জি আতঙ্কিত। তাই এদের তিনি পোস্টাল ব্যালটে পাবেন না। তাই এদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নেওয়া হয়েছে। এই অনশনকারীদের কিছু হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। নবান্ন অভিযান করুন। অমিত শাহ বলে গিয়েছেন আমাকে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডাকলে যাবেন। আমরা পাশে আছি। সুপ্রিম কোর্ট এবার আশা করি বিবেচনা করবে। সাহস থাকলে এদের বরখাস্ত করে দেখান। এরা প্রাণ আত্মাহুতি দিতে চায়। চাকরি যাওয়ার ভয় এরা করে না। এদের দাবি আংশিক সফল। ঠেলায় পড়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সর্বাত্মক ধর্মঘট করুন।"
শুভেন্দুর দাবি, "সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ লক্ষ্যে অবিচল। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা পরিষেবাবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে। একটা মেডিক্যাল টিম পর্যন্ত পাঠায়নি। মাঝে একবার ভাইপো এখানে সভা করে গেল। ভেবেছিল এরা উঠে পালিয়ে যাবে। সেদিনও এরা লড়েছে। সেদিন শহিদ মিনারে গুন্ডা আনা হয়েছিল। এদের তুলে দেওয়ার জন্য। মমতা ব্যানার্জিকে এদের কাছে বো ডাউন করতে হবে। নাহলে পদত্যাগ করতে হবে।" গতকাল সংহতি মিছিলকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, "ওটা সংহতি নয়। সাম্প্রদায়িক মিছিল। ওটা মুখের ভাষা। উন্মাদ হয়ে গেছে!"