গোঘাট থানার কামারপুকুর থেকে বদনগঞ্জ রুটের সাতবেড়িয়া পোলের কাছে শুক্রবার ১২/০১/২০২৪ তারিখে সাংবাদিক মিরাজুল মল্লিক, (টার্গেট বাংলা নিউজ ও জয়তু বাংলার সাংবাদিক) খবর সংগ্রহ করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল কামারপুকুর যাওয়ার উদ্দেশে। তারপর সাতবেড়িয়ার পোলের পাশে যেখানে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬ তম জন্মমহোৎসব পালন হচ্ছে সৎসঙ্গ বিহার কামারপুকুরের উদ্যোগে, ওই অনুষ্ঠানেরই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ছিল মিরাজুল। তখন হঠাৎ করেই গোঘাট থানার SI সৌমিত্র হালদার মিরাজুল মল্লিককে হঠাৎই বাইক দাঁড় করায় রাস্তাতে ভাই থামাতেই মিরাজুল এর গালে সপাটে এক থাপ্পর মারে এবং ওই অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। কোন কথাই শুনতে চাই না এই অফিসার ওর সামনেই অন্য আরও একজনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সজোরে থাপ্পড় মারার পর মিরাজুল মাথা ঘুরে পড়ে যায় রাস্তার পাশে। মিরাজুল এর অপরাধ সে বাইক চালানো সময় তার মাথায় হেলমেট ছিল না। সে ভুলবশত হেলমেট বিহীন অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হয়ে ছিল। কিন্তু কোনো কারণ শোনার প্রয়োজনও মনে না করে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। পরিচয় এবং কেন এসেছি কিছুই দেখতে বা শুনতে চাননি। এমন কি তিনি মিরাজুলের মা ও বাবার সঙ্গেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ অসম্মান করে ।বলতে থাকেন, ওই পুলিশ অফিসার সৌমিত্র হালদার ।
"আমি মিরাজুল একজন পেশাগতভাবে সাংবাদিক। সাংবাদিককে যদি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে চড় মারেন তাহলে সাধারণ মানুষজন কি অবস্থায় প্রতিনিয়ত এই পুলিশের দ্বারা কতটা শিকার হয়। প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। এস আই সৌমিত্র হালদারের নামে এই গোঘাটের সাধারণ মানুষের মধ্যে দুর্ব্যবহারের বহু অভিযোগ আছে । বাইক চালানোর সময় হেলমেট মাথায় না থাকলে তার জন্য অবশ্যই পুলিশ ফাইন করতে পারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে , কিন্তু কোন আইনে লেখা আছে কোথায় প্রচলিত, মাথায় হেলমেট না থাকলে তাকে মারধর করতে হবে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে হবে মা-বাবা প্রসঙ্গে অসম্মানজনক কথা বলতে হবে জনসমক্ষে প্রকাশ্যে রাস্তায়।" সাংবাদিককে কাজে বাধা দেয়ায়। এই ঘটনায় গোটা আরামবাগ মহকুমা সাংবাদিক মহল জুড়ে উঠেছে নিন্দা ঝড়।