নিজস্ব সংবাদদাতা: নির্বাচনের আগেই তৃণমূল দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর চণ্ডীতলা এলাকায়। এদিন দলের মধ্যেই মারধরের অভিযোগ ওঠে চণ্ডীতলা-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শেখ হাসেম আলি ও দলের কর্মী শেখ আজিবর রহমানের বিরুদ্ধে। এরপর উভয়কেই গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। যদিও গতকাল অর্থাৎ সোমবার শ্রীরামপুর কোর্টে তাঁরা জামিন পেয়ে যান।
সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় টিকিট ভাগ নিয়ে ঝামেলা হয় চণ্ডীতলা ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শেখ হাসেম আলির মধ্যে। যদিও ভোট পরবর্তী পর্যায় আঁইয়া পঞ্চায়েতের এলাকায় এলাকায় ভোলানাথের অপসারণের দাবিতে পোস্টার দেখা যায়। এবং ভোলানাথের সন্দেহ হয় এটা শেখ হাসেমের কাজ।
এবছর আবার ঘটনার সূত্রপাত হয়, গত শুক্রবার আজিবরের বাড়িতে হাসেম ও তাঁর লোজন যখন হামলা চালায়। তিনি চণ্ডীতলা থানায় অভিযোগ করলে ফেল হামলা হয় তাঁর বাড়িতে। ভোলানাথের এক ঘনিষ্ঠদের দাবি, গত ১লা জানুয়ারি আঁইয়া পঞ্চায়েতে আজিবর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যা হাসেমের পছন্দ হয়নি। আর সেই কারণেই এমন হামলা হয়েছে বলে খবর।
আজিবর অভিযোগ, “আমাকে মারধর করা হয়। ধারলো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। প্রাণে বাঁচতে থানায় গিয়েছিলাম। উল্টে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করল। যে নেতা আমায় আক্রমন করল, সে জামিন পায় কী করে!” হাসেম পাল্টা অভিযোগ করে, আজিবর হাসেমের ভাগ্নেকে মারধর করেছেন যার জন্য আজিবরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভোলানাথ বলেন, "হাসেম নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যান। আঁইয়া পঞ্চায়েত নিজের দখলে রাখতে চাইছেন। দলকে সব জানিয়েছি। আমরা চাই ওঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।" পরে দলীয় সূত্রে খবর, সেখ হাসেম আলীকে ৭ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন দলীয় দ্বন্দ্বে যথেষ্ট অসস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।