নিউজ ডেস্ক: প্রায় খবর আসে যে এসএসকেএম হাসপাতালে শরীর খারাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ভর্তি থাকেন প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। এবং এই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
সুস্মিতা সাহা নামে এক আইনজীবী, মামলা করে জানান, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখনই কোনও প্রভাবশালী বা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে তখনই দেখা যায় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতির কথা বলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করায়। তারা দিনের পর দিন বেড দখল করে রাখেন। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করাতে গেলে বেড পায় না,"
এরপর শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, "সংশোধনাগারের নিজেদের একটি হাসপাতাল থাকে। যখন সেই হাসপাতাল চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয় তখনই তাঁকে সংশোধনাগারের অধীনে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার মানে এই নয়, সেই ব্যক্তিকে পাঁচ মাস ছয় মাস হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হবে। তবে সেটা অবশ্য নির্ভর করবে চিকিৎসকদের উপরে। এক্ষেত্রে আদালত কী করবে? তবে আপনাদের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। দিনের পর দিন বেড দখল করা ঠিক নয়।" এই বলে এসএসকেএম হাসপাতালে ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৪ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারির পর এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন একাধিক নেতা মন্ত্রী। যেমন মদন মিত্র অতীতে গ্রেফতারের পর অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএম-এ দীর্ঘ সময় ভর্তি থেকেছেন। আবার সিবিআই-এর তলব পেয়ে এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলও। এছাড়াও রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পর দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। বর্তমানে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও গত কয়েক মাস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেড না পাওয়ার অভিযোগ প্রায় শোনা যায়। যার ফলে হয়রানির মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের।