নিউজ ডেস্ক : দিল্লিতে৬০০ বছরের একটি পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলায়া তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটি মেহরোলি এলাকায় অবস্থিত আখুন্দজি মসজিদটি ভেঙে ফেলেছে। এই অবস্থায় কেন এত পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলা হল? সে বিষয়ে দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটির কাছে ব্যাখ্যা চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। আরও অভিযোগ মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার পড়ুয়াদের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।গত ৩১ জানুয়ারি বিচারপতি সচিন দত্তের একক বেঞ্চ মামলার করে, দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথোরিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মসজিদটি ভেঙে ফেলার আগে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
যদিও ধর্মীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ধ্বংসের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া মসজিদটি ভেঙে ফেলার আগে শুনানির জন্য দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের সিইওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। মসজিদের ইমাম জাকির হুসেন জানান, তিনি দেড় বছর ধরে মসজিদের ইমাম ছিলেন। আগে থেকে মসজিদ ভাঙার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বুলডোজার করে মসজিদ ভাঙার আগে তাদের মাত্র ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে কর্তৃপক্ষ তার ফোন কেড়ে নেয়। ফলে তিনি কারও সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি। মসজিদটি ভাঙার জন্য এলাকায় সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়ন করা হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, মসজিদটি রাজিয়া সুলতানার আমলে নির্মিত হয়েছিল। এটি প্রায় ৬০০-৭০০ বছরের পুরনো। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের ম্যানেজিং কমিটির আইনজীবী শামস খাজা এর বিরোধিতা করে জানান, ধর্মীয় কমিটি কোনও ধ্বংসের পদক্ষেপের আদেশ দিতে পারে না। এরপর বিচারপতি দত্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানের দিন ধার্য করেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।