নিউজ ডেস্ক ; একজন নার্সের বদলির অর্ডার এল দুই জায়গায়। এমনটাই ঘোটেছে চুঁচুড়া হাসপাতালের স্টাফ নার্সের সাথে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি জায়গায় ওই নার্সকে বদলির অর্ডার দেওয়া হয়েছে, আবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে আরেক জায়গায় বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর বলেন, "ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে অর্ডারটি পাঠিয়েছে, সেটি মেনেই কাজ হবে।"
চুঁচুড়া হাসপাতালের স্টাফ নার্স বন্দনা দত্তগুপ্তের দুটি বদলির অর্ডার দেওয়া হয় সোমবার। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁকে বদলি করা হয় চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। আবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটি নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে, তাঁকে বদলি করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের অনুপনগর গ্রামীণ হাসপাতালে। যদিও ওই নার্সের বিরুদ্ধে রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।
যে কারণে বিধায়ক তাঁর দলবল নিয়ে হাসপাতালে এসে ঝামেলা করেন বলে নার্সদের অভিযোগ। এমনকি, অভিযুক্ত নার্সকে অপমান করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। এরই প্রতিবাদে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের নার্সিং স্টাফরা কালো ব্যাজ পরে হাতে প্লাকার্ড নিয়ে সুপারের ঘরে বিক্ষোভে সামিল হন সোমবার। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বদলির অর্ডার আসে। নার্সেস ইউনিটের স্টেট সেক্রেটার ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা সরকারি হাসপাতাল , এটা এখনও জঙ্গলের রাজত্ব হয়ে যায়নি। কেউ কেউ চাইছেন এটা জঙ্গলের রাজত্ব করার। কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে গেলে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়।" এবিষয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "ওই দিনের ঘটনার প্রমাণ স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে বলেছেন সুপার ও সিএমওএইচ। ওঁরা আন্দোলন করতেই পারেন, আমি সাধারণ মানুষের জন্য গিয়েছি। আমার ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই।"