নিউজ ডেস্ক- জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা পঞ্চায়েতের ধনপোতা গ্রামে প্রতিনিয়ত কোপ পড়ছে ডাকাতিয়া খালের বাঁধে। যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করে চালান করা হচ্ছে সেই মাটি। এই ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীরা হুগলি জেলা প্রশাসন ও গ্রামীণ পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, শাসকদলের মদতে জনৈক শেখ কুতুবুদ্দিন ও তার দলবল ওই কাজ করছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, ফুরফুরা পঞ্চায়েত এলাকায় বন্যা দীর্ঘদিনের সমস্যা। সম্প্রতি সেই খালের বাঁধের মাটি কাটার ফলে চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, শীতে শুকনো খালে কমপক্ষে ৩০টি ট্রাক্টর নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতভর মাটি কাটা চলছে। এর ফলে পাড়গুলি দুর্বল হয়ে পড়ছে ও এর জন্যই বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "পুলিশ- প্রশাসন আর তৃণমূলের একাংশের মদতে এই সব চলছে। খালের মধ্যে দিয়ে রীতিমতো রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। রাতে ট্রাক্টরে করে অবাধে মাটি পাচার চলছে। কেউ বাধা দেওয়ার নেই।"
এদিকে প্রশাসন জানিয়েছে, গত বুধবার অভিযোগ পেয়ে ভূমি দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ও বিষয়টি খতিয়ে দেখে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যন্ত্র দিয়ে খাল থেকে মাটি কাটা চলছে। দুপুরে ভূমি দফতরের আধিকারিকেরা ও পুলিশ যায়। তখন অবশ্য তাঁরা যন্ত্র দেখতে পাননি। স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের লোকেরা আসার কিছু আগেই যন্ত্রটি সরিয়ে নেওয়া হয়।এবিষয়ে কুতুবুদ্দিন দাবি করেন, "আমি মাটি কাটার যন্ত্র ভাড়ায় দিয়েছি। মাটি কাটায় কোনও ভাবে যুক্ত নই। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।" বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, “ডাকাতিয়া খালের বাঁধের মাটি কেটে লোপাট হচ্ছে। প্রশাসন জানে না, এমনটা নয়। তৃণমূলের লোকজন যুক্ত আছে বলে প্রশাসন চোখ বুজে রয়েছে।" এ নিয়ে জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূল নেতা তমালশোভন চন্দ্র বলেন, "আমরা পুলিশ- প্রশাসনকে বলেছি ওই এলাকায় বেআইনি মাটি কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। ওই অঞ্চলে মাটি কাটার ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। কুতুব আমাদের দলের কেউ নন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।"