সেখ আব্দুল আজিম, হুগলি: অনেক কমিশন গেছে এখনই সন্দেশখালিতে যাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন।হুগলিতে বললেন, কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান।
আজ হুগলির সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন।সংখ্যা লঘু মূলত ছয়টি সম্প্রদায়,মুসলিম,শিখ,বৌদ্ধ,জৈন,পার্সি,খ্রিষ্টানদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
আহমেদ হাসান জানান,সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন,তাদের উন্নয়ন ঠিক মতো হচ্ছে কিনা,তারা শিক্ষার দিক থেকে কতটা এগোচ্ছে,সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছে কিনা,তা দেখে কমিশন।প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে।সেখানে যদি কোন শূন্যতা থাকে তা পূরণ করার চেষ্টা করে।
আজ হুগলি জেলা পরিষদের সভাকক্ষে হুগলি জেলার সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ রকমই কিছু সমস্যা প্রস্তাবের কথা উঠে আসে বলে জানান চেয়ারম্যান।আমরা সেগুলো নোট করেছি।এসব নিয়ে পর্যালোচনা করেছি।জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলাশাসক অতিরিক্ত জেলা শাসক, পুলিশের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
কারো কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধান করতে হবে।জনকল্যাণের দিকটা সংখ্যালঘুরাও সমানভাবে আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফুরফুরা শরীফের প্রতিনিধিরাও ছিলেন বৈঠকে।ফুরফুরা শরীফ কিছু মুসলিমের জন্য তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।অনেকে আসেন তাদের জন্য বেশ কিছু কাজ হয়েছে।একদম কিছু হয়নি এরকম অভিযোগ আমরা পায়নি।ফুরফুরা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।তার মাধ্যমে অনেক কাজ হচ্ছে।স্বাস্থ্য সাথী ওবিসি কার্ড এগুলো পেতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সন্দেশখালি তে কমিশন শিশু কমিশনের মত অনেক কমিশন গেছে এই মুহূর্তে আমাদের যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই।
চুঁচুড়ার কারবালা কবরস্থান নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে।ওটা ঘিরতে হবে।টাকা এসেছিল করোনার সময় সেটা খরচ করতে পারা যায়নি।নতুন করে আমরা কাজ করব।জেলাশাসক নতুন করে প্রস্তাব দেবেন আমি নিজেও দপ্তরকে বলে দেব।