ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ। হুগলির গুড়াপের কংসারিপুর মোড়ের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে বর্ধমানমুখী একটি ডাম্পার ধাক্কা মারে টোটোকে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রী সমেত টোটোটি ঢুকে যায় ডাম্পারের নিচে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ। ডাম্পারের নিচে থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান স্থানীয়রাও। অচৈতন্য অবস্থায় ডাম্পারের নিচ থেকে মোট ৭ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তখনই ৫ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যু হয় টোটো চালক-সহ আরও ১ জনের। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। দুর্ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয় ওই ডাম্পার চালককে।
বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, “টাকা দিয়ে কোনও মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ করা যায় না। তা সত্ত্বেও আমরা সাধ্য মতো পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম।”