কেন তিনি রাজনীতি ছেড়ে তাঁর নিজের জগতে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন দেব, তাও খোলসা করলেন পাঁশকুড়ার সভা। ঘাটাল লোকসভার প্রার্থী দেব বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আমি বলেছিলাম করে দেব। কিন্তু করে দিতে পারিনি। তাই রাজনীতি জগত ছেড়ে দিয়ে নিজের অভিনয় জগতে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “দিদি আমাকে বলে যে রাজনীতিতে তোমার মতন ছেলের প্রয়োজন। আমি দিদিকে বলেছিলাম যদি ঘাটার মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার করে দেয় তবেই আমি রাজনীতিতে ফিরব। দিদি কথা রেখেছে আরামবাগের সবার থেকে ঘোষণা করেছে।” তিনি জানালেন, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনার কাছে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের’ কাগজ জমা পড়েছে। দুটো কাজ শুরু করার আবেদনও করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গ অনুযায়ী, ভোট ভোট আবহ যখন শুরু হয়েছিল বাংলা, তখন দেবকে নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংসদে নিজের আসনের ছবি পোস্ট করে দেব লিখেছিলেন ‘আর কিছুক্ষণ’। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই পোস্ট। সেসময় বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রণীল ঘোষ দাবি করেছিলেন, দেব হয়তো বিজেপি শাসিত রাজ্যের কোনও এক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে থাকতে পারেন দিল্লিতে। দেব ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং বীর সিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সাংসদ। সেই তিনটি সরকারি পদ থেকে পদত্যাগও করে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সংসদের শেষদিনে দেব একটি পোস্ট করেন। ‘বিদায়, থ্যাঙ্কু দিদি।’ একটাই শব্দবন্ধ আরও চড়চড়িয়ে বাড়ে জল্পনা। কলকাতায় ফিরে প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। তারপর তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমি রাজনীতি ছাড়লেও, রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না।’