ভাইজাগ বন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করল সিবিআই

নিউজ ডেস্ক - সিবিআইয়ের ‘অপারেশন গরুড়’ আবার পেল এক বড় সাফল্য। ভাইজাগ বন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করল সিবিআই। ইন্টারপোল থেকে সিবিআই-কে এই গোপনের মাদক পাচারের চক্রের বিষয়ে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আগেভাগেই তৈরি ছিলেন সিবিআই-এর গোয়েন্দা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশাখাপত্তনম শুল্ক দফতরের যৌথ তৎপরতায় উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ মাদক। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কেজি ইনঅ্য়াকটিভ ড্রাই ইস্ট উদ্ধার হয়েছে। শিপিং কন্টেনারে চাপিয়ে ব্রাজিলের সান্তোস বন্দ থেকে বিশাখাপত্তনমে পাঠানো হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ মাদক। কন্টেনারের ভিতরে মোট ১০০০টি ব্যাগ ছিল ইনঅ্য়াকটিভ ড্রাই ইস্টের। প্রতিটি ব্যাগে ২৫ কেজি করে শুকনো ইস্ট রাখা ছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ওই শুকনো ইস্টের সঙ্গে মাদক মেশানো ছিল।

গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ওই বিপুল পরিমাণ শুকনো ইস্টের কন্টেনারটি পাঠানো হচ্ছিল ভাইজ্যাগেরই এক বেসরকারি সংস্থার জন্য। ইন্টারপোল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাইজাগ বন্দরেই এই কন্টেনারটিকে আটকানো হয় এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসে এক হাজার ব্য়াগে ঠাসা শুকনো ইস্ট। যেহেতু আগে থেকেই সন্দেহ ছিল সিবিআই-এর, তাই ওই ব্যাগগুলির মধ্যে কোনও মাদক পদার্থ লুকানো রয়েছে কিনা, পরীক্ষা করে দেখা হয়। ওই শুকনো ইস্টের সঙ্গেই মাদক দ্রব্য মিশিয়ে আনা হচ্ছিল। গোটা কনসাইনমেন্টটি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই এবং বিশাখাপত্তনমের ওই বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানিয়েছেন, সিবিআই অনুমান করছে এর সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক অপরাধমূলক চক্র যুক্ত রয়েছে। এর আগেও ইন্টারপোল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিকে একাধিক গোপন অপারেশন চালিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশন গরুড় হল আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৈরি একটি বিশেষ দল। এবার ভাইজ্যাগ বন্দর থেকে বড় সাফল্য পেল সিবিআই-এর এই টিম।

Priyanka Dey

প্রিয়াঙ্কা দে । আশুতোষ কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা । পরে খেলাধুলা নিয়ে মিডিয়া জগতে প্রবেশ। বর্তমানে DNN বাংলার ও KKR এর কনটেন্ট টিমে কর্মরত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন