নিউজ ডেস্ক - চলতি বছরে মার্চের শুরু থেকেইঅনেক বাড়িতে পাখা চলতে শুরু করেছে। এই বিষয় অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে পরিস্থিতি কী হবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন চলতি মরসুমে গরম গতবারের থেকে তুলনামূলক ভাবে বাড়বে অনেকটাই। এবং গরম বাড়লে স্বাভাবিক ভাবে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই সেই বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত আছে রাজ্য বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থা এবং সিইএসসি। শুক্রবারে এমনই জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
গত মরসুমে রাজ্য বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯২০০ মেগাওয়াট। অন্যদিকে সিইএসসি-র চাহিদা চাহিদা ছিল ২৬০০ মেগাওয়াট। সেই তুলনায় চলতি মরসুমে বিদ্যুৎ চাহিদা আরও বাড়বে বলে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি জানান, ছয় থেকে সাত শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে গরমকালে। যা বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কাছে কিছুটা উদ্যেগেরও বিষয়। তবে অরূপ বিশ্বাস জানান যে এই পরিস্থতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রয়জনীয় বিদ্যুৎ সম্ভার রয়েছে রাজ্যের হাতে। পরিস্থিতি সঙ্গে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত কয়লাও মজুত রেখেছে আছে রাজ্যের।
এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী। এই কমিটির কাজ হল নিয়মিত বিদ্যুৎ চাহিদা এবং সরবরাহের উপর নজর রাখা।
বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও জানান চলতি বছরগুলিতে উৎপাদন ব্যয় অনেকটা বেড়েছে। সাব স্টেশন এবং বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় যন্ত্রপাতির আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। এর ফলে ব্যয় বাড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন সামনে আসে যে বিদ্যুতের দাম কী বাড়়তে পারে? এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী আঙুল তোলেন বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির উপর। মন্ত্রীর দাবি, সেই রাজ্যগুলোতে বিদ্যুতের দাম ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সেই জায়গায় রাজ্যে এখনও ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৭টাকা ১২ পয়সা রয়েছে। উৎপাদন ও বণ্টনের খরচ বাড়লেও বিদ্যুতের বিল বাড়াবে না রাজ্য সরকার ।