আবহাওয়া বৈচিত্র দেখা যাচ্ছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে




নিউজ ডেস্ক - ভারতের পূর্ব-পশ্চিমে দিকে আবহাওয়ার বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বসন্তকালেও বৃষ্টিভেজা ঠান্ডা আমেজ দেখা যাচ্ছে বাংলা-ওড়িশাতে। ইতিমধ্যে মার্চের রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে ফেলেছে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর। কিন্তু আবের অন্যদিকে একই সময়ে প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে মহারাষ্ট্র-গুজরাট। তাপপ্রবাহ না হলেও, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার দেশের উষ্ণতম স্থান ছিল মোদী-রাজ্যের রাজকোট। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবারই চলতি মরশুমের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার সাক্ষী মুম্বই। সান্তাক্রুজের তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা হল স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি।

 মঙ্গলবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার গোটা দিনে রোদ ওঠেনি। ফলে তাপমাত্রাও বাড়ার সুযোগ পায়নি। তাই মার্চ মাসে তৈরি হয়েছে একের পর এক রেকর্ড। কিন্তু সেই রেকর্ড গরমের নয়, শীতলতম দিনের রেকর্ড!

 বুধবার আলিপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.১ ডিগ্রির উপরে আর ওঠেনি। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৩ ডিগ্রি কম। দিনের একেবারে শুরুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি। সারা দিনে তাপমাত্রার বৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র ১.৪ ডিগ্রি ।মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিঘার তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি। 

প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতেও শীতলতম দিনের রেকর্ড গড়েছে ভুবনেশ্বর, কটক, পুরী। ভুবনেশ্বরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মাত্র ১৯.২ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭ ডিগ্রি কম। যা হল মুম্বইয়ের অর্ধেক তাপমাত্রা। কটকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.০ ডিগ্রি। পুরীর তাপমাত্রা ২০.৪ ডিগ্রি।

 আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাসের ব্যাখ্যা, ”এর পিছনে দুটো নিম্নচাপ অক্ষরেখার বড় ভূমিকা রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। আবার বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে উত্তর-দক্ষিণে একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত। এর ফলে বিপুল পরিমাণে জলীয় ঢোকায় বিশালাকার মেঘপুঞ্জ সৃষ্টি হয়। এই মেঘপুঞ্জের পশ্চিম থেকে পুবে সরার গতি বেশ কম। ফলে দিনভরই মেঘলা ছিল আকাশ। তাই দিনের তাপমাত্রা এতটা কম।” 

তবে আবহবিদরা বলছেন, শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। মেঘ কাটলেই দ্রুত বাড়বে তাপমাত্রা। মৌসম ভবন আগেই বলে রেখেছে, মার্চেই পশ্চিমাঞ্চলের এক-দু’জায়গায় দেখা দিতে পারে তাপপ্রবাহ। 

Priyanka Dey

প্রিয়াঙ্কা দে । আশুতোষ কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা । পরে খেলাধুলা নিয়ে মিডিয়া জগতে প্রবেশ। বর্তমানে DNN বাংলার ও KKR এর কনটেন্ট টিমে কর্মরত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন