সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির ঘুঘুডাঙ্গার ট্যাপরামারি এলাকায় ওই হিমঘরে এসি সারাইয়ের কাজ চলছিল সকালে। কাজ চলার সময়ই এসির গ্যাসপাইপটি ফেটে যায়। সেই পাইপ ফেটে অ্যামোনিয়া গ্যাস বেরোতে থাকে। কটূ গন্ধে এলাকা ছেয়ে যায়। গ্যাসের কারণ চার জন এসি টেকনিশিয়ান অসুস্থও হয়ে পড়েন বলে। এদের মধ্যে একজনের হাত-পা মারাত্মক ভাবে ঝলসে যায়।
দমকল কর্মীরা এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।দ্রুত আহত চার কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তাঁদের মধ্যে একজন টেকনিশিয়ানের কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয়। ওই হিমঘরটিতে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৬৮ কুইন্ট্যাল আলু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
সুত্রে আরও খবর , কুতুবুদ্দিন শেখ নামে এক টেকনিশিয়ান এদিন পাইপে উঠে প্রথম কাজ শুরু করেন।কিন্তু তাঁর শরীরের চাপে ভেঙে যায় পাইপ। বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়া গ্যাস। সেই গ্যাসে ঝলসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্যান্য কর্মীরা। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির বাড়ি ২৪ পরগনা জেলায়।
এছাড়াও মোকা ডায়মন্ড হারবার থেকে জলপাইগুড়ির ওই হিমঘরে কাজ করতে এসেছেন উরগান শেখ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত তিনি। তাঁর কথায়, "শনিবার সকালে আমরা হিমঘরে কাজ করছিলাম। আচমকাই গ্যাস লিক করতে শুরু করে। দু’জন মারাত্মকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ে। ওদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"