একমাত্র বর্ধমান পূর্ব আসন ছাড়া, গতবারের জয়ী প্রার্থীদের প্রত্যেককেই এবারও টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমে শতাব্দী রায়, বোলপুরে অসিত কুমার মাল, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা, এবং কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র। বর্ধমান পূর্বে গতবারের জয়ী প্রার্থী সুনীল কুমার মন্ডলের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে ডা. শর্মিলা সরকারকে। রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী, সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুট মণি অধিকারী। বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বহরমপুর আসনে রয়েছেন দুই তারকা প্রার্থী – কীর্তি আজাদ এবং ইউসুফ পাঠান।
রানাঘাটে গতবারের বিজয়ী প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকেই ফের প্রার্থী করেছে বিজেপি। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে এসএস আলুয়ালিয়ার বদলে প্রার্থী হচ্ছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়া বহরমপুরে ডা. নির্মল কুমার সাহা, বোলপুরে প্রিয়া সাহা, বর্ধমান পূর্বে অসীম কুমার সরকার এবং কৃষ্ণনগরে অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অমৃতা রায়, কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের রাজমাতা। কিন্তু এখনও অবধি আসানসোল এবং বীরভূমে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি।
এই পর্বের ভোটে অবশ্য সবথেকে বেশি চোখ থাকবে বহরমপুর কেন্দ্রের দিকে। এই কেন্দ্রে ১৯৯৯ সাল থেকে একটানা সাংসদ রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তবে, এবার তাঁর চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। উল্টোদিকে আছেন তারকা ক্রিকেটার প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। এছাড়া বীরভুমেও প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। এখানকার কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ। অন্য ছয়টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। সিপিআইএম-এর বোলপুরের প্রার্থী শ্যামলী প্রধান, আসানসোলের জাহনারা খান, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ডা. সুকৃতী ঘোষাল, বর্ধমান পূর্বে নীরব খান, রানাঘাটে অলকেশ দাস আর কৃষ্ণনগরে এসএম সাদি।