নিউজ ডেস্ক - পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ শাস্তি যোগ্য হওয়ার পরও মোবাইল নিয়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে শুরু হল বিতর্ক।
গত শনিবার ছিল খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষা । জলপাইগুড়ি কদমতলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। মোট তিন দফায় হচ্ছিল পরীক্ষা। শুরুতে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, প্রথম দফার পরীক্ষা শেষ হবার পর বেলাকোবার বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে এসে সাংবাদিকদের কাছে গুরুতর অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী দেবব্রত রায় জানাচ্ছেন, তাঁর পরীক্ষার আসন পড়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্রের ৮ নম্বর ঘরে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত ছিলেন। দেবব্রতর দাবি, তিনি দীর্ঘক্ষণ থেকেই দেখছিলেন তাঁর ঘরে এক পরীক্ষার্থী সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ঢুকেছে। তা দিয়েই তিনি পরীক্ষার প্রশ্ন বাইরে পাঠিয়ে উত্তর জেনে নিচ্ছেন। তারপর বিষয়টি তিনি হলে থাকা পরীক্ষককেও জানান এবং শোরগোল পড়ে যায় পরীক্ষা কেন্দ্রে।
দেবব্রতর দাবি, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ থাকার সত্ত্বেও কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে ওই পরীক্ষার্থী হলে ঢুকলেন। পুলিশ তাঁদের ব্যাগ পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেয়নি। কিন্তু, এই ছেলেটি কীভাবে তা এড়িয়ে মোবাইল নিয়ে হলে ঢুকে গেল। তাঁর সঙ্গেই অন্যান্য পরীক্ষার্থীরাও সামগ্রিক নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন যে পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বাড়ি মালদহ জেলার পাকুয়া হাট। অসৎ উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠতেই তাঁকে জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।