নিউজ ডেস্ক : সারা দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন চলছে। তার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বেরিয়েছে। গত কয়েক দিনের তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টের রায় যারা মূলত শিক্ষকের চাকরি হারিয়েছেন তাদেরকে ভোটের ডিউটিতে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে তা নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশনার। কমিশন সূত্রে খবর যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা গ্রুপ সি গ্রুপ ডি কর্মচারী চাকরিহারা রয়েছেন তাদের অনেকেই ভোট কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু কয়েকদিন বাদেই দ্বিতীয় দফার ভোট থাকায় এই মুহূর্তে তাদের ভোটের ডিউটি থেকে বাতিল করলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কমিশনকে। সেই জন্য এ বিষয়ে তারা এখনো কেমন সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি।
কমিশনের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন ," ভোটের ডিউটি করার জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত রিজার্ভ কর্মী আছে যদি প্রয়োজন হয় তাদের মধ্যে থেকে নতুন ভোট কর্মী নিয়োগ করা হবে। সবদিক খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা শাসকরা "। আবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, " কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছি সর্বোচ্চ আদালত কি রায় দেয় সেটা দেখার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে"। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুখ খুলেছে পদ্মফুল কড়া ভাষায় দাবি করেন। তাদের দাবি কলকাতা হাইকোর্টে রায়, যাদের চাকরি গিয়েছে, তারা কোনোভাবেই ভোটের ডিউটিতে কাজ করতে পারবে না। বিজেপি নেতার জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, " কোর্টের নির্দেশে যাদের শিক্ষক পথ চলে গিয়েছে তাদের বিকল্প হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের মধ্যে থেকে প্রিসাডিং অফিসার এবং পুলিং অফিসার নিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি"।