এই দিন সকালে বড়বাজারের একটি পিচবোর্ডের গুদামে আগুন লাগে। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। বিধ্বংসী আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছে আগুন। খবর পেয়েই প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। পরে আরও ৩টি ইঞ্জিন আনা হয়।
বহু দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল ওই গুদামে, এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনিতেই ঘিঞ্জি এলাকা বড়বাজার, তার উপর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। তবে আগুন যাতে বেশি ছড়িয়ে পড়তে না পারে এবং ভয়াবহ আকার না নেয়, তার জন্য সমানে চেষ্টা করছে দমকল বাহিনী। একসঙ্গে ১০টি ইঞ্জিন কাজ চালাচ্ছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির আন্দাজ করা যায়নি। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “কীভাবে আগুন লেগেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটা পিচবোর্ডের গোডাউনে আগুন লেগেছে। সেখান থেকে আশেপাশের দুটি বাড়ির নীচের তলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা ওখানে বসবাস করেন, তাদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আর যাতে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে, তার চেষ্টা চলছে। কুলিং প্রক্রিয়া চলছে।”
এই গোডাউন বেআইনি বলেই অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী বলেন, “বড়বাজার অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা, সবাই জানেন। আমরা নিজেদের কাজ করছি। আমি সিনিয়র অফিসারদের ফোন করে দ্রুত এখানে আসতে বলি। আমাদের প্রাথমিক কাজ আগুন নেভানো। তারপর তদন্ত হবে, ফরেন্সিক হবে। তখনই জানা যাবে এটা আইনি না বেআইনি।”
পাশেই বাগরি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠলে সুজিত বসু বলেন, “বাগরি মার্কেটে আমরা এক লাখ লিটার জলের ব্যবস্থা করেছি। মানবিকতার খাতিরে একদিনে কারোর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া যায় না। যতটা সম্ভব নিয়ম মেনে করা হয়। আমরা ফায়ার অডিট করি, বারবার সতর্কতা নিতে বলি।”