নাইটরা ব্যাটিং করে পাঞ্জাবের সামনে ২৬২ রানের টার্গেট রাখে। আর পাঞ্জাবও জিতবে বলে ব্যাট হাতে মাঠে নামে । কেকেআরের মতোই শুরুটা মজবুত করেছিল পঞ্জাবও। প্রভসিমরন সিং ও জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৯৩ রান। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে মাত্র একটিই উইকেট তুলতে সফল হয় কলকাতা। ২০ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন পঞ্জাবের ওপেনার প্রভসিমরন সিং। তিনি রান আউট না হলে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ওপেনিং পার্টনারশিপ আরও বেশি হতে পারত।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বেশ থিতু হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো এবং রাইলি রোসো। এই জুটিকে দীর্ঘক্ষণ টলাতে পারেননি দুষ্মন্ত চামিরা, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলরা। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন করেন শ্রেয়স আইয়ার। নারিনকে আক্রমণ আনতেই দ্বিতীয় উইকেট আসে কেকেআরের ঝুলিতে। ৩৯ বলে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন জনি বেয়ারস্টো এবং রাইলি রোসো।
টানা ৪ ম্যাচ যে টিমটা হেরেছে তাদের ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে রান তুলতে দেখা গেল। পঞ্জাবের হয়ে শেষ ২টো ম্যাচে জনি বেয়ারস্টো ছিলেন না। তিনি ফিরতেই যেন কপাল খুলল পঞ্জাবের। ৪৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বেয়ারস্টো। তাঁর শতরান পূরণ হতেই পঞ্জাবের ডাগআউট থেকে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা যায় টিমের নিয়মিত ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ানকে। চলতি মরসুমে এটাই বেয়ারস্টোর প্রথম সেঞ্চুরি।
এরপর টেলিভিশন ক্যামেরা যখনই গ্যালারির দিকে ঘুরছিল কেকেআরের সমর্থকদের থমথমে মুখ দেখা যাচ্ছিল। তাঁরাও যেন মনে মনে ভাবছিলেন, এই বুঝি ম্যাচ বেরিয়ে গেল। সত্যিই ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছিল। নাইটদের ডাগআউটে গম্ভীরের মুখ থমথমে দেখাচ্ছিল। হসপিটালিটি বক্সে শাহরুখ খানের হাসিও খানিকটা ম্লান হয়ে গিয়েছিল। পঞ্জাব যত রানের ব্যবধান কমাতে থাকে ততই উদ্বিগ্ন দেখায় কেকেআরের সমর্থকদের। আর গ্যালারিতে থাকা পঞ্জাবের ভক্তদের মুখে হাসি চওড়া হতে থাকে।
১৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন হর্ষিত রানা। ওই ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর ছক্কা হাঁকান শশাঙ্ক। ২৩ বলে তাঁর অর্ধশতরান পূরণ হয়ে যায়। সেঞ্চুরিয়ন বেয়ারস্টোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন শশাঙ্ক সিংও। শেষ অবধি তিনি ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮ বল বাকি থাকতেই ২৬২ রানের টার্গেট পূরণ করে ফেলে পঞ্জাব কিংস। আইপিএলে এর আগে সর্বাধিক ২২৪ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ২ বার রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে পঞ্জাব কিংস এবং ক’দিন আগেই ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধেই সেই রেকর্ড গড়েছিল রাজস্থান। এ বার ওই রেকর্ড ভাঙল পঞ্জাব কিংস। তাও কেকেআরের বিরুদ্ধে, ইডেনে।