বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বলা বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিয়েছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। হলফনামায় মুখ্যমন্ত্রীকে সাবধান করার আবেদন জানিয়েছেন বিকাশ রঞ্জন। বিচারপতি তখন বলেন, “এর আগেও হাইকোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করেছে।” বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁ (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বারবার বিভিন্ন জায়গায় বিচারপতি, বিচার প্রক্রিয়া, বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন।”
প্রসঙ্গ অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতিতে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজারের কিছু বেশি জনের চাকরিতে বেনিয়ম রয়েছে। তবে আদালতের বক্তব্য, রাজ্য সরকার কিংবা এসএসসি-র তরফে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেওয়া হয়নি। নিয়োগ বাতিলের রায়কে ‘বেআইনি’ বলে চিহ্নিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে গিয়েও এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আউশগ্রামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ” আমিও আইনের ছাত্রী ছিলাম, এখনও বার কাউন্সিলের মেম্বার। আমি জাজেস নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু জাজমেন্ট নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে। ” হাইকোর্টের রায় প্রভাবিত বলেও বিজেপিকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে মেইল করে অভিযোগ জানিয়েছেন।