নিউজ ডেস্ক - তারকেশ্বর থেকে বর্ধমান, পরপর পথ দুর্ঘটনায় আহত ১৬ জন। একইসঙ্গে আচমকা চলন্ত গাড়িতে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের মাটিয়াল ডিভিসি মোড় এলাকায়। তবে কোনওরকমে গাড়ি থেকে নেমে প্রাণে বাঁচেন চালক। অন্যদিকে মাছের খাবার নিয়ে আরাবাগ ডানকুনি রোড দিয়ে মাছের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল একটা ট্রাক। কিন্তু, তারকেশ্বরের বিনোদবাটি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ট্রাকের তলায় চাপা পড়ে আহত হন ১০ জন। তাঁর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিং হোম ও তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছে, আরামবাগ থেকে একটি মাছের খাবার বোঝাই ওই ট্রাকটি ডানকুনির দিকে যাচ্ছিল। শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সেটি যখন বিনোদবাটি এলাকার কাছে একটি আলুর আরোতের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেই সময় ওই জায়গায় থাকা কিছু স্থানীয় লোকজন ও আরোতের কর্মীরা ছিলেন। তাঁরা ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে যা। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ আরামবাগ-ডানকুনি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পড়ে পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।
অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আবার পরপর চারটি গাড়ির ধাক্কায় রাজাপুর থানার বেলতলায় মুম্বাই রোডে আহত হন ৬ জন। সূত্রের খবর, কোলাঘাটের দিকে যাচ্ছিল একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার। কিন্তু, আচমকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেতেই পিছনে থাকা একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাক্কা মারে। তার পিছনে আবার একটি বড় ট্রাক ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে নেমে যায়। তার পিছনে আবার ধাক্কা মারে একটি চারচাকা। পুলিশ এসে আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজে পাঠায়। ঘটনার জেরে মুম্বই রোডে বেশ কিছুক্ষণের জন্য তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়।