নিউজ ডেস্ক - স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝামেলার মধ্যে চলছিল বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা। আর এরইমধ্যে আবার বাড়িতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারি হয়ে এবং মাঝে পড়ে গেলেন বৃদ্ধ শ্বশুর। তাঁকেই ভোজালির কোপ মেরে বাড়ি ছাড়ল জামাই। বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে। সবং ব্লকের ৭ নং নারায়নবাড় অঞ্চলের কাপাসদা এলাকার বাসিন্দা সনাতন মাইতির সঙ্গে ২৯ বছর আগে বিয়ে হয় অষ্টমী মাইতির। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে আর বনিবনা হচ্ছিল না। বাপের বাড়িতে থাকছিলেন অষ্টমী দেবী।
মেদিনীপুর আদালতে চলছিল তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে আচমকা শ্বশুরবাড়িতে আসেন সনাতন। অভিযোগ, ফের স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন। নানা বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঝমেলার মধ্যে স্ত্রীকে ধরে মারতে থাকেন। ঘটনা দেখে মেয়েকে বাঁচাতে যান সনাতনের শ্বশুর জ্যোতিপ্রসাদ মাহাতো (৭০)। তখনই ঘটে যায় বিপত্তি।
মারমুখী জামাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাননি শ্বশুরও। জ্যোতিপ্রসাদকে ভোজালি দিয়ে কোপাতে থাকেন সনাতন। বৃদ্ধের চিৎকার শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশীরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন সনতান। স্থানীয় বাসিন্দারাই জ্যোতিপ্রসাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সবং গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে শুরুতে খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরে সনাতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।