আসলে লোকসভার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার জেরে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের দিন আলাদা আলাদা হওয়ায় শিলিগুড়িতে দু’দফায় ভোট হবে। যা নিয়ে কেউ বিরক্ত, কেউ আবার বলছেন উপভোগ করবেন। তবে বিজেপির দাবি, জেলার ভোটে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হয়। এক্ষেত্রে দুই দ’ফায় একই শহরের অন্য জেলার কর্মী-নেতাদের অনুপ্রবেশ কিভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করুক কমিশন। প্রয়োজনে কমিশনের কাছে জানাব৷ বিজেপি নেতা তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলছেন, “এটা একটা নতুন বিষয়। আমিও থাকে একেবারে বর্ডার লাইনে। আমাদের এখানে ২৬ তারিখ ভোট। কিন্তু, কয়েকটা বাড়ি আগেই ১৯ তারিখ ভোট। এই প্রক্রিয়ার কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। আমি আশা করি নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে খেয়াল রাখবে। তবে আমার মনে হয় শিলিগুড়িতে অনেক শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। এবারও তাই হবে বলে মনে হয়।”
অপরদিকে তৃণমূলের দাবি, একই শহরের ভোট দু’দিনে। শহরের বাসিন্দারা অন্য অংশে যাবেই তো। তৃণমূল চেয়েছিল রাজ্যে এক দফায় ভোট হোক। হল কই? জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং লোকসভার ভোট এক দিনে হলে এ সমস্যা হত না। বিজেপি যা বলছে বলুক। আর কমিশন যা ইচ্ছে করুক। তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলছেন, “আমরা তো এক দফায় ভোট চেয়েছিলাম। কিন্তু, ভোটটা সাত দফায় হচ্ছে। ইলেকশন কমিশনের নির্দেশ তো মানতেই হবে। এখানের ১৪টা ওয়ার্ড জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। কিন্তু, প্রশাসনিক দিক থেকে ওটা শিলিগুড়ি পুরনিগম দেখে। যদি ওরা প্রথম দফায় ওরা দার্জিলিংকে যোগ করে দিত তাহলে একবারেই হয়ে যেত।” পাল্টা খোঁচা দিয়ে শঙ্কর ঘোষ বলছেন, “গৌতমবাবুদের অনেক ইচ্ছা আছে। ওনারা দাবি করতেই পারেন যে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের কাউকে বসানোর। তৃণমূল মনোনীত বিচারপতির দাবিও করতে পারেন।”