২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীকে। অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ফ্ল্য়াট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রথমে ইডি গ্রেফতার করলেও, সিবিআই হেফাজতেও কাটাতে হয় তাঁকে। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। ১ বছর ৯ মাস কেটে গিয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ওঠে পার্থর জামিন মামলা। আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি।
অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে পার্থর কোনও সম্পর্ক নেই, এই যুক্তি আদালতে বারবার দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেই এটা সম্ভব হয়েছে। একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাম আমলে এটা সম্ভব ছিল না বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাতেই নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডি ও সিবিআই দুই সংস্থার চার্জশিটেই উঠে এসেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম।