সূত্রের খবর, মৃতার নাম চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামী (৪২)। বাড়ি তপন থানার চকভগীরথে। গত ২৭ তারিখ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিবারের দাবি, সোমবার চিকিৎসক চন্দনাদেবীকে দেখার পর বলেন, পায়ের ইনফেকশন কমে গিয়েছে। এক বা দু’দিনের মধ্যে ছুটি দিয়ে দেবেন। সেই কারণে পরিবারের সদস্যরা বিশেষ গুরুত্ব দেননি। তারপর রাত্রিবেলা হাসপাতালে কেউ ছিলেন না।
এরপর মঙ্গলবার সকালে মৃতার স্বামী বিপুল বিক্রম গোস্বামী হাসপাতালে চা ও সকালের খাবার নিয়ে এসে দেখেন স্ত্রীর শরীর পুরো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জানান। পরে চিকিৎসক এসে চন্দনাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরই পরিবার অভিযোগ জানান যে, চিকিৎসায় গাফলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত থেকে রোগী অসুস্থ থাকার পরও কেন তাদের একবারও ফোন করা হল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তারা। গোটা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। যদিও এ প্রসঙ্গ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মুখ খুলতে চাননি। মহিলার স্বামী বলেন, “ওরা বলেছিল পায়ের ইনফেকশন কমে গেছে। ছেড়ে দেবে। আজ সকালে চা-বিস্কুট এনে দেখি ওর শরীর পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে।”