গুলিতে কেউ আহত না হলেও, গোটা ঘটনায় ব্য়াপক আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। সলমনের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা বাবা সিদ্দিকী, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে, সলমনের ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান, তাঁর ভাগ্নে আরহান খান এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাহুল কানাল।
মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রবিবার সন্ধ্যাতেই সান্তা ক্রুজের ভাকোলা এলাকা থেকে তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা তিনজনই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। এরা বন্দুকবাজদের সাহায্য করেছিল।
এইদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও জানা গিয়েছে, সলমন খানের বাড়িতে গুলি চালিয়েছিল দুই হামলাকারী। হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম বিশাল ওরফে কালু। বিশাল হরিয়ানার গুরুগ্রামের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে, বিশাল রোহতকের একটি ধাবায় সচিন নামে গুরুগ্রামের স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছিল। সূত্রের খবর, বিশাল বিদেশে বসে থাকা গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার জন্য কাজ করে।
সূত্রের মত অনুযায়ী, সলমন খানের বাড়ির রেইকি করতে শ্যুটারদের সাহায্য করা হয়েছিল। অন্য কেউ গিয়ে রেইকি করে এসেছিল, যাতে শ্যুটাররা সিসিটিভিতে ধরা না পড়ে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী, রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ বন্দুকবাজরা গুলি চালায়। হামলাকারীরা সালমানের বাড়ির বাইরে বাইক থেকে পাঁচটি গুলি ছোড়ে, যার মধ্যে দুটি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের দেওয়ালে লাগে। বাকি তিনটি গুলি রাস্তাতেই করে।
গুলি চালানোর ঘটনাটি চালানোর পরে, দুই অভিযুক্তই বান্দ্রা স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বোরিভালি গামী লোকাল ট্রেন ধরেন। বিকেল ৫.১৩ মিনিটে তারা সান্তা ক্রুজ স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামে। সান্তা ক্রুজ স্টেশন থেকে তাঁরা ভাকোলার দিকে বেরিয়ে এসে সেখান থেকে একটি অটো ধরে। আরও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।