নিউজ ডেস্ক: ২৬/১১ মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রীর নিশানায় কী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? বিষয়টিকে নিয়ে খুবই চিন্তিত লালবাজার কতৃপক্ষ। অভিযুক্ত ব্যক্তি অর্থাৎ রাজারাম রেগে কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ির সামনে রেইকিও করেন বলে লালবাজার সূত্রের খবর। কিন্তু কে এই রাজারাম রেগে? তিনি কেন কলকাতায় এলেন? প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। ভিডিয়োগ্রাফি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লালবাজার।কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরলিধর শর্মার দাবি, “মুম্বই অ্যাটাকের মতো কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কিনা। বা তার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা সেরকমই কোনও বিষয় পরিকল্পনা করছে কিনা, আমরা তা খতিয়ে দেখব। মুম্বই থেকে রাজারাম রেগেকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। ২৬/১১ মুম্বইে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে একেবারেই এই অ্যাক্টিভিটিটা মিলে যাচ্ছে। সেই কারণেই আমরা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”
লালবাজার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে," অভিষেকের আপ্তসহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এই ষড়যন্ত্রী রাজারাম। এমনকী ফোনও করেছিল এই রাজারাম। ফলত দুজনের মধ্যে চলে কথোপকথন।তার পরই অভিষেকের বাড়ির সামনে থেকে এক ঝলক ঘুরে যান মুম্বই হামলার এই ষড়যন্ত্রী"। পাশাপাশি, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও তিনি রেইকি করেছিলেন কি না সেটিরও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে । এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সুপ্রিমো ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে।লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, “কিছু মানুষ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নামে রেইকি করছিল। আমরা প্রাথমিক নাম জানতে পারি রাজারাম রেগে। ইনি মুম্বই অ্যাটাক যখন হয়েছিল তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তখন পরিচয় দিয়েছিল তিনি পলিটিক্যাল লোকদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকায় “অরা” হোটেলে ছিলেন এই ব্যক্তি। তিনি এখানে এসে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ফোন নম্বর এবং পিএ-র মোবাইল নম্বর নিয়েছে। তিনি অভিষেকের অফিস যান, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে আমাদের শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করা হয়।”