সূত্রের খবর, রনিতা রায় নামে ওই মহিলা যাত্রী আজ ব্যাংকক থেকে কলকাতায় আসছিলেন। বিমান বন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার ৬ই১০৫৮ বিমানে ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই মাঝ আকাশে অসুস্থতার ‘ভান’ করেন ওই যাত্রী। অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান বিমানের ভিতরে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের কেবন ক্রু’রা বিষয়টি পাইলটকে জানান। ব্যাংকক থেকে কলকাতাগামী ওই বিমানের পাইলটও দ্রুত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেডিকেল এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি চাওয়া হয়।
এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি পেতেই বিমানটি দ্রুত নেমে আসে কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে নিযুক্ত মেডিক্যাল টিম ওই মহিলা যাত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে রেফার করে দেন। সেই মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ওই মহিলা যাত্রীর হাবভাব দেখে সন্দেহ সৃষ্টি হয় শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের মনে। জানা গিয়েছে, এরপর শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, ওই মহিলার চিকিৎসা বিমানবন্দরেই করতে হবে। এদিকে কিছু সময়ের মধ্যেই ওই মহিলার জ্ঞান ফেরে।
এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেশ কিছু তথ্য সামনে আসে। যেমন তিনি মাসে তিন বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু কী কারণে এক মাসে এত বার বিদেশ ভ্রমণ, তাঁর পেশা কী? সেই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি ওই মহিলা বিমানযাত্রী। উত্তরে অসামঞ্জস্য ধরা পড়তেই তাঁকে তল্লাশি চালানো হয়। আর সেই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই ‘সোনার খনি’।