নিউজ ডেস্ক - তাপপ্রবাহের থেকে সাময়িক কিছুটা স্বস্তির খবর শোনালো আলিপুর হাওয়া অফিস। আপাতত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় আজ বিকালের পর থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,মুর্শিদাবাদ,বীরভূমে।
রবিবার থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রবিবার বেশি ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এদিন বিকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে কলকাতায়। রবিবারও বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আগামী দুই দিন একইরকম তাপমাত্রা থাকলেও বৃষ্টির জেরে দুই দিন পর থেকে গোটা রাজ্যেই তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমবে।
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েচ্ছে, ৯ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ১০ এপ্রিল এটি থাকবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। ফলে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। আগামী চারদিন দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। এদিকে শুক্রবার পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মেদিনীপুরে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আসানসোলে ৪০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদমে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।