নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থেকেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসী কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ °। বেশ কয়েকটি জেলায় বুধ ও বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কাঠফাটা রোদে রাস্তায় বেরোনোর দায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের। তবে এর মধ্যেই কাজে বেরোতে হচ্ছে প্রত্যেককেই যার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। অত্যাধিক এই গরমে ক্লান্তি, নিম্ন রক্তচাপ, বুক ধড়ফড় করা, হিট স্ট্রোকের মতো বিপত্তির ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই এই আবহাওয়ায় নিজেকে সুস্থ রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে জল ও খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। যার জেরে শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই এই সময় শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয় সেই বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু খাবারেও শরীরের জল ও মিনারেলের ঘাটতি দূর করে। এই গরমের সময় সেই সমস্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। দেখে নিন শরীর ঠান্ডা রাখতে কি কি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ডাবের জল: রোদে বেরিয়ে যদি শরীরে অস্বস্তি হয় তবে ডাবের জল খেতে পারেন। ডাবের জল শরীরকে সতেজ ও পেট ঠান্ডা রাখে পাশাপাশি এই ডাবের জলে রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম যা শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।
কাঁচা আম: গরমে কাঁচা আমের ডাল চাটনি টক খেতে সকলেই পছন্দ করে। কাঁচা আমের বিভিন্ন পথ যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যকরও। এই গরমে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমবে।
লাউ: লাউ শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। এই সময় লাউ খেলে শরীরে গরম জনিত অস্বস্তি থেকে কিছুটা আরাম পেতে পারেন। পাশাপাশি লাউয়ের রস সকালবেলা পান করলে শরীর সারাদিন হাইড্রেট থাকে এবং ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে এই লাউ।
টক দই: গরমকালের অবশ্যই টক দই খান। টক দই শরীরকে ঠান্ডা রাখে। ভাত দিয়ে হোক বা ফল দিয়ে টক দই খেলে আপনার শরীর সতেজ ও ঠান্ডা থাকবে।প্রয়োজনে টক দইয়ের লস্যি বা ঘোল বানিয়েও খেতে পারেন। এতে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রেরও দেখভাল করে। গরমে হজমজনিত সমস্যারও সমাধান রয়েছে টকদইয়ে।
অঙ্কুরিত মুগ ডাল: এই গরমের দিনগুলোতে হঠাৎ খিদে পেলে হালকা খাবার হিসেবে অঙ্কুরিত মুগ ডাল খেতে পারেন। মুগ ডাল দিয়ে স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য ঠিক থাকবে এবং শরীর ঠান্ডা থাকবে।