এই দেরি হওয়া নিয়ে বিচারপতির বক্তব্য, “এটা দুর্ভাগ্যের যে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনওরকম পদক্ষেপ করতে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুধু কেন্দ্রের আইনজীবীরা নন, এএসজি গত ফেব্রুয়ারি নিজে চিঠি লিখে নির্দেশ কার্যকরের জন্য সুপারিশ করেছেন। তারপরেও কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের?” প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গ অনুযায়ী, গত বছর মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞা। প্রথমে বিজেপি নেতা খুনের মামলায় এসডিপিও-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ঘটনাস্থল থেকে বোমা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছিল রাজ্য। কিন্তু চার্জশিটে সে কথা উল্লেখ ছিল না। একই সঙ্গে একাধিক অভিযুক্তদের নামও বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তারপরই সেই মামলায় এনআইএ-কে যুক্ত করে হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই নির্দেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরও হাইকোর্টে এএসজি উপস্থিত হওয়ায় কেন্দ্রের ভূমিকায় বিরক্ত হন বিচারপতি।